This Article is From Apr 13, 2020

"লকডাউনের নিয়ম কেউ ভাঙবেন না": পথে পথে ঘুরে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন যমরাজ!

Coronavirus Lockdown: ''যমরাজ'' যেখানেই গেছেন সেখানেই যুবক এবং বৃদ্ধ সহ সববয়সীরাই জড়ো হয়ে তাঁর বার্তা শুনেছেন এবং অনেকে আবার তাঁর ছবিও তুলেছেন

COVID-19: উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মানুষকে সতর্ক করতে বার্তাবহকে যমরাজ সাজিয়ে নামায় রাস্তায়

হাইলাইটস

  • লকডাউন না মানলেই মৃত্যুপুরীতে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে, বার্তা দিলেন যমরাজ
  • উত্তরপ্রদেশের পথে-ঘাটে যমরাজ সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ
  • সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই এই উদ্যোগ
বাহরাইচ, উত্তরপ্রদেশ:

হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত্যুর দেবতা হলেন ''যমরাজ'', তাঁর (Yamraj) কথা ভাবলেই ভয়ে হাত-পা কাঁপতে থাকে অনেকেরই। করোনা ভাইরাস (Coronavirus) যখন রীতিমতো মৃত্যুদূত হয়ে ভারতের সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই সময়েই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে রাস্তায় নামলেন স্বয়ং ''যমরাজ''। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে বাহরাইচের রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল তাঁকে। লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) সময় যাতে কোনও মানুষ ঘরের বাইরে পা না দেন সেই ব্যাপারে মানুষজনকে সতর্কবার্তা দেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ওই যমরাজকে বলতে শোনা যায়, যাঁরা "সামাজিক দূরত্বের নিয়ম লঙ্ঘন করে রাস্তায় বের হবেন তাঁদের নরকে নিয়ে গিয়ে লকডাউন" করে দেবেন তিনি। হ্যাঁ, এভাবেই আমজনতাকে বোঝাতে উদ্যোগ নেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সোনালি ও লাল রঙ সহ কালো পোশাকে ''যমরাজ'' হয়ে যিনি পথে পথে ঘুরে ওই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তিনি আসলে বাউন্ডি থানার পুলিশ কর্মী লভকুশ মিশ্র। ইয়াব্বড় গোঁফ এবং সোনার মুকুট পরে তাঁকে দেখে ''যমরাজ'' হিসাবে বেশ সমীহই হচ্ছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৫ জনের প্রাণ কাড়ল করোনা, মোট মৃত ৩০৮, আক্রান্ত ৯,১৫২

"আমি যমরাজ I করোনা ভাইরাসকে আটকাতে যে লকডাউন হয়েছে তার নিয়ম যদি আপনি না মেনে চলেন, তবে এই গ্রহে আর কোনও মানুষই বাঁচবে না I আমিই সকলের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠবো। আপনি যদি সামান্য অসতর্ক হন তবে আমি আপনাকে আমার সঙ্গে করে নিয়ে মৃত্যুপুরীতে চলে যাব", একটি মাইক নিয়ে ওই ঘোষণা করতে শোনা যায় যমরাজরূপী ওই পুলিশ কর্মীকে। কিছু পুলিশ কর্মীকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়।

"কারুরই এই লকডাউন লঙ্ঘন করা উচিত নয় এবং অহেতুক বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। সবসময় অন্তত একটি রুমাল মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করা উচিত, নিজের হাত বারবার সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন, স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন এবং একে অপরের থেকে এক থেকে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন", এই বার্তাও দেন ''যমরাজ''।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁদের এই যমরাজের মাধ্যমে সতর্কবার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনায় বেশ ভালই সাড়া মিলেছে আমজনতার পক্ষ থেকে। দেখা গেছে ''যমরাজ'' যেখানেই গেছেন সেখানেই যুবক এবং বৃদ্ধ সহ সববয়সীরাই জড়ো হয়ে তাঁর বার্তা শুনেছেন এবং অনেকে আবার তাঁর ছবিও তুলেছেন। তাঁর কথা মন দিয়ে শুনেছেনও স্থানীয়রা। ফলে মনে করা হচ্ছে মানুষজনকে সতর্ক করতে ওই উপায় অনেকটাই কার্যকরী হবে। 

কঠোর ভাবে লকডাউনের নিয়ম মেনে চলুন, রাজ্যকে ফের চিঠি কেন্দ্রের

রবিবার নতুন করে আরও ৩১ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে উত্তরপ্রদেশে। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে মোট ৪৮৩ জনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রাজ্যের মুখ্য সচিব (চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য) অমিত মোহন প্রসাদের মতে, বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫৭৬ জন রোগীকে আক্রান্ত সন্দেহে রাখা হয়েছে এবং ৮,০৮৪ জনকে কোয়ারান্টাইন হয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, গৌতম বৌদ্ধ নগর, লখনউ, সাহারানপুর এবং গাজিয়াবাদেই সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ঘটছে বলে জানা গেছে। ফলে সতর্কতায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না যোগী সরকার।

.