Read in English
This Article is From May 18, 2020

বাড়ি ফিরতে মরিয়া, বাস ধরতে ঠাসাঠাসি ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের

সাবধানতা না মানলে সংক্রমণের শিকার হতে হবে, একথা বললে এক শ্রমিকের স্পষ্ট জবাব, ‘‘অসুখ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কিন্তু আমি খিদের জন্য মরতে চাই না।’’

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
গাজিয়াবাদ:

সোমবার বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrants) জড়ো হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের এক মাঠে। তাঁদের লক্ষ্য চেষ্টা করে এখান থেকে স্পেশাল ট্রেনে করে বাড়ি ফিরবেন। গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে হাজার হাজার শ্রমিকদের জড়ো হওয়ার দৃশ্য দেখে চমকে উঠছেন সবাই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধিনিষেধকে অবহেলা করে সেখানে বাসের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে উপস্থিত রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। জানা যাচ্ছে, ওই বাস তাঁদের পৌঁছে দেবে বিভিন্ন স্থানে। যেখান থেকে তাঁরা বিহারে যাওয়ার স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারবেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি কাউন্টার। সেই কাউন্টারগুলি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিবদ্ধ করা হবে।

কোনও শ্রমিককেই সাবধানতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি। তবে অনেকেই মুখে কাপড় জড়িয়ে রেখেছিলেন। 
সাবধানতা না মানলে সংক্রমণের শিকার হতে পারেন তাঁরা, একথা বললে এক শ্রমিকের স্পষ্ট জবাব, ‘‘অসুখ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কিন্তু আমি খিদের জন্য মরতে চাই না।''

আর এক শ্রমিক দায়ী করছেন প্রশাসনকে। তাঁর দাবি, অব্যবস্থাপনার জন্যই এমন ভিড়ে ঠাসা পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমিকদের।

Advertisement

এমাসের শুরুতে চালু হয়েছে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন। লকডাউনের ফলে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়ে দিতেই এই ট্রেন চালু করা হয়েছে। যদিও বহু শ্রমিক মনে করছেন, ট্রেনে চড়ার জন্য যে কাগজ পূরণ করতে হচ্ছে তা সময়সাপেক্ষ। পাশাপাশি তাঁদের থেকে বেশি ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশ সরকার সম্প্রতি নির্দেশ জারি করেছে যে, কোনও পরিযায়ী শ্রমিককেই রাস্তা বা রেললাইনে যেন দেখা না যায়। দেখা গেলে তাঁদের বিশেষ বাস বা ট্রেনে তুলে দেবে সরকার। অথবা তাঁদের সাময়িক ভাবে কোনও আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

Advertisement

দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে হল ৯৬,০০০। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে লকডাউন চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।

Advertisement