Coronavirus in India: করোনাকে এড়াতে ৩ মে পর্যন্ত সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে
হাইলাইটস
- লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে বন্ধ থাকছে দেশের বিমান পরিষেবাও
- কোনও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান আগামী ৩ মে পর্যন্ত চলবে না, জানিয়েছে সরকার
- লকডাউনে পরিষেবা নাগাড়ে বন্ধ থাকায় অপূরণীয় ক্ষতির মুখে বিমান সংস্থাগুলো
নয়া দিল্লি: দেশ জুড়ে লকডাউনের (Coronavirus lockdown) জের, আগামী ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ দেশীয়, আন্তর্জাতিক সব উড়ান, পুরোপুরি বন্ধ বিমান পরিষেবা, ঘোষণা করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Aviation Ministry)। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়েই দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করেন তিনি। কেউ কেউ অনুমান করেছিলেন যে, কিছু আবশ্যিক সতর্কতা মেনে হয়তো লকডাউনের থেকে ছাড় মিলতে পারে দেশের বিমান (Flight) পরিষেবার। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা দেখা গেল না। করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের বৃদ্ধি রুখতে ৩ মে পর্যন্তই সমস্ত রকম বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
"দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নির্ধারিত সমস্ত বিমানসংস্থার পরিষেবা ৩ মে রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে", টুইট করে জানায় কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
এমনিতেই টানা লকডাউন চলার জেরে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমঅবনতি হচ্ছে। বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন দেশের বিমানসংস্থাগুলো। বহু বিমানসংস্থাই এই পরিস্থিতিতে তাদের কর্মীদের বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে।
২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর: প্রধানমন্ত্রী
শুধু এয়ার ইন্ডিয়াই নয়, সমস্ত বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোই করোনা পরিস্থিতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিষেবা বন্ধ থাকায় কমে গেছে আয়, তার ফলে বিমানসংস্থা ইন্ডিগো তার ঊর্ধ্বতন কর্মীদের বেতন ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এদিকে ভিস্তারা গত মার্চ মাস থেকেই তাঁদের উচ্চপদস্থ কর্মীদের জন্যে বিনা বেতনে কমপক্ষে তিন দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা করেছে।
স্পাইস জেট জানিয়েছে তারা কর্মচারীদের বেতন ১০ থেকে ৩০ শতাংশ কমাবে এবং এয়ার ইন্ডিয়ার ঘোষণা, আগামী তিন মাসের জন্যে সংস্থার কেবিন ক্রু ছাড়া প্রতিটি কর্মচারীর বেতন থেকে ভাতা বাবদ ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হবে।
দিশাহীন সিদ্ধান্ত: লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সমালোচনায় বিরোধী দল কংগ্রেস
যদিও লকডাউনের মধ্যেও চলবে মালবাহী বিমানগুলো। কার্গো বিমান, অফশোর হেলিকপ্টার অপারেশন, চিকিৎসা পরিষেবার জন্যে ব্যবহৃত বিমানগুলোকে লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন বা ডিজিসিএ।
বিভিন্ন বিমানসংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা হবে। সামাজিক দূরত্বের সীমারেখা বজায় রেখেই যাত্রীদের বসার আসন বরাদ্দ হবে। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও ভবিষ্যতে বিমানে চড়তে হলে যাত্রীদের অনেকটাই বেশি ট্যাঁকের কড়ি খসাতে হবে বলে আভাস মিলেছে। কেননা এই বিরাট ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে বিমানের টিকিটের দাম বিপুল পরিমাণে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।