This Article is From May 11, 2020

স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলো চালু করুন, স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে যোগ দিক: রাজ্যগুলোকে কেন্দ্রের প্রস্তাব

স্বাস্থ্যকর্মীদের গতিবিধির উপর কিছু রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মত, স্বাস্থ্যসেবার জন্যে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হোক

স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলো চালু করুন, স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে যোগ দিক: রাজ্যগুলোকে কেন্দ্রের প্রস্তাব

Coronavirus Lockdown: ব্যক্তিগত ক্লিনিক এবং নার্সিং হোম খোলার ব্যাপারে সবার সম্মতি প্রয়োজন, বলেছে কেন্দ্র

হাইলাইটস

  • স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না
  • রাজ্যগুলোকে সাফ নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার
  • দেশে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সময় প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর্মীদেরই
নয়া দিল্লি:

গোটা দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ। এই সংক্রমণকে ঠেকাতে তাই আরও বেশি করে স্বাস্থ্যকর্মী সহ স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের সহায়তার প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সোমবার রাজ্য সরকারগুলোকে বলা হয়েছে, দেশে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus in India) বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউন (Coronavirus Lockdown) চলাকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কোনও চিকিৎসক, প্যারামেডিক্যাল কর্মী, সাফাই কর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্সের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের গতিবিধির উপর কিছু রাজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরাসরি আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে, স্বাস্থ্যসেবার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা যাতে চালু থাকে সেব্যাপারে রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়াও সব রাজ্যেই যাতে ধীরে ধীরে বেসরকারি ক্লিনিক এবং নার্সিংহোমগুলি খোলার ব্যবস্থা হয়, সেব্যাপারে তৎপর হতে হবে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে একটি ভিডিও সম্মেলন করেন রবিবারই।  তার ঠিক একদিন পর স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করার বিষয়ে রাজ্যগুলিকে লেখেন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নতুন শিকার ৪,২১৩ জন, একদিনে সর্বাধিক আক্রান্ত

এদিকে আজ (সোমবার) বিকেলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। ২৫ মার্চ দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে এনিয়ে এটি পঞ্চম বৈঠক হতে চলেছে। এই মহামারীর ফলে ভয়ঙ্কর মন্দার মধ্যে চলে গেছে দেশের সার্বিক অর্থনীতি। সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবদের যে বৈঠক হয় তাতে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর। যেমন- রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন চিহ্নিতকরণ নিয়ে অনেক রাজ্যই নানা আপত্তি তুলেছে। পাশাপাশি কিছু রাজ্য এও বলেছে যে, যেভাবে পরিযায়ীদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে তাতে করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ছে। তাই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বেশিরভাগ জেলাকেই রেড জোনের অধীনে নিয়ে আসা হোক, এমন প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাপারে উদাসীন রাজ্য সরকার: অধীর চৌধুরী

বেশ কয়েকটি রাজ্য এই যুক্তিও দেয় যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের দ্বারা নতুন করে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পথ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে গোটা দেশের পক্ষেই। এছাড়া লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের  নতুন শিকার হয়েছেন ৪,২০০ জন রোগী এবং মারা গেছেন ৯৭ জন। এর আগে, একদিনে একসঙ্গে এতজন কোভিড- ১৯ এর কবলে পড়েননি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংক্রামক ব্যাধির হামলায় নাজেহাল ভারতও। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে কোভিড- ১৯ রোগের কবলে পড়েছেন মোট ৬৭,১০০ জন, ওই রোগের সঙ্গে যুঝতে না পেরে মারা গেছে মোট ২,২০৬ জন। 

.