தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From May 17, 2020

চতুর্থ দফার লকডাউন! কী খোলা, কী বন্ধ, দেখুন তালিকা

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, এই গাইডলাইন শিথিল বা কড়া হতে পারে পর্যালোচনার ভিত্তিতে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

চতুর্থ দফার লকডাউনে রাত্রিকালীন কার্ফু, সকাল ৭টা-সন্ধ্যা ৭টা, লাগু থাকবে।

নয়া দিল্লি :

সম্ভাবনা বাস্তব করে চতুর্থ দফার লকডাউন (Lockdwon 4.0) দেশব্যাপী লাগু করল কেন্দ্র। ৩১ মে পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। এই মর্মে কী করণীয়, কী নয়, সেই সংক্রান্ত গাইডলাইন (Guideline) জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার জোন ভাগ রাজ্যের ওপর ছাড়া হয়েছে। রেড, অরেঞ্জ আর গ্রিন জোন চিহ্নিতের কাজ রাজ্যগুলোই করবে। সেক্ষেত্রে মানতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন। তৃতীয় দফার লকডাউন অবধি এই জোন চিহ্নিতকরণের কাজ কেন্দ্রের আওতাধীন ছিল। 

দেখে নিন আগামী দুই সপ্তাহ কী কী খোলা:

  • আন্তঃরাজ্য যাত্রী পরিবহণ। সেক্ষেত্রে দুই রাজ্যের সহমত নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম লাগু। শুধু কন্টেইনমেন্ট জোনে চলবে না কোনও যাত্রী পরিবহণ। 
  • স্পোর্টস কমপ্লেক্স আর স্টেডিয়াম খোলা যাবে। কিন্তু প্রবেশ করতে পারবে না দর্শক। 
  • কন্টেইনমেণ্ট জোনে একমাত্র অত্যাবশকিয় পণ্য মিলবে।
  • শুধু মাত্র হোম ডেলিভারি দিতে খোলা যাবে রেস্তোরাঁর রান্নাঘর। 
  • আন্তঃরাজ্য আর আন্তঃজেলা যাতায়াত করতে পারবেন করোনা যোদ্ধারা। এই পরিসরে ছাড় পাবেন চিকিৎসক,ল নারস-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী আর সাফাই কর্মীরা। 
  • খালি ট্রাক-সহ পণ্যবাহী সব যান চলাচলে শিথিলতা। 
  • সর্বাধিক ৫০ জন আমন্ত্রিত-সশ বিয়ের অনুষ্ঠান। অবশ্যই মানতে হবে সামাজিক দুরত্ব বিধি। 
  • শেষকৃত্যে সর্বাধিক ২০ জন জমায়েত করতে পারবেন। 
  • নির্ঘণ্ট মেনে দোকান খোলা হচ্ছে কিনা, নিশ্চিত করবে জেলা প্রশাসন। দোকানীদের দায়িত্ব নিতে হবে সামাজিক দুরত্ব বিধি যাতে বিকিকিনি হয়, সেটা নিশ্চিত করার। প্রতি গ্রাহকের মধ্যে ৬ ফুট দূরত্ব থাকবে। আর একবারে ৫ জন বেশি গ্রাহক জমায়েত চলবে না। 
  • যতটা সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোম সংস্কৃতি জারি রাখতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানকে নির্ঘণ্ট মেপে কাজের সময় নির্ধারিত করতে হবে। 

দেখে নিন আগামী দুই সপ্তাহ কী কী বন্ধ:

  • ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান। একমাত্র নিরাপত্তা ও মেডিক্যাল কাজে ব্যবহৃত বিমানে শিথিলতা। 
  • ট্রেন-মেট্রো পরিষেবা।
  • স্কুল-কলেজ। 
  • রেস্তোরাঁ ও অন্য অতিথি আপ্যায়ন প্রতিষ্ঠান। রেল স্টেশন ও বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন হোটেল ক্যান্টিন খোলা রাখা যাবে। 
  • গনজমায়েত করা যায় এমন জায়গা যেমন, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, পানশালা, জিমখানা, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিম পার্ক, প্রার্থনা স্থল প্রমুখ। 
  • সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক, সংস্কৃতিমূলক জমায়েত নিষিদ্ধ। বন্ধ থাকবে ধর্মীয় স্থানও।
  • সন্ধ্যা ৭টা- সকাল ৭টা অবধি নিয়ন্ত্রিত যাতায়াত। একমাত্র প্রয়োজনীয় দরকার মেটাতে বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে। 
  • প্রকাশ্য স্থানে মদ, সিগারেট, গুটখা সেবন নিষিদ্ধ। 

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, এই গাইডলাইন শিথিল বা কড়া হতে পারে পর্যালোচনার ভিত্তিতে। কতটা বাণিজ্যিক সংস্থান খোলা যায়, তা খতিয়ে দেখা হবে। 

Advertisement