Read in English
This Article is From May 06, 2020

Telangana Update: তেলেঙ্গানায় লকডাউন বাড়ানো হল ২৯ মে অবধি, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও

Coronavirus Telangana Update: দেশের নবতম এই রাজ্যে রেড জোনে ৬ জেলা, অরেঞ্জ জোনে ১৮ টি এবং গ্রিন জোনে ৯ টি জেলা রয়েছে। তিনটি জেলায় সংক্রমণের হার বেশি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Highlights

  • মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, “জনগণ চায় লকডাউন বাড়ানো হোক।"
  • রাজ্যে রেড জোনে ৬ জেলা, অরেঞ্জ জোনে ১৮ টি এবং গ্রিন জোনে ৯ টি জেলা রয়েছে
  • তেলেঙ্গানাতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ১,০৯৬ টি ঘটনা রয়েছে
হায়দরাবাদ:

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলা দেশব্যাপী লকডাউনকে নিজেদের রাজ্যে আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল তেলেঙ্গানা। তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে যে, ২৯ মে পর্যন্ত চলবে তাঁদের রাজ্যের লকডাউন। অর্থাৎ দেশের বাকি অংশে লকডাউন শেষ হওয়ার দশ দিন পর অবধি করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলেঙ্গানা লকডাউন অব্যাহত রাখবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ৭ ঘণ্টার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বলেছেন, “জনগণ চায় লকডাউন বাড়ানো হোক। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করেছি।” দেশের নবতম এই রাজ্যে রেড জোনে ৬ জেলা, অরেঞ্জ জোনে ১৮ টি এবং গ্রিন জোনে ৯ টি জেলা রয়েছে। তিনটি জেলায় সংক্রমণের হার বেশি। তিনি জানান, জিএইচএমসি, রঙ্গা রেড্ডি এবং মেডচাল জেলার অবস্থা “উদ্বেগজনক”।

চন্দ্রশেখর রাও বলেন, “কেন্দ্র বলছে যে রেড জোনে দোকানও খুলতে পারে, তবে আমরা হায়দরাবাদ, মেডচাল, সূর্য্যপেট, ভিকারাবাদে কোনও দোকান খুলছি না।”

তেলেঙ্গানাতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ১,০৯৬ টি ঘটনা রয়েছে- ৪৩৯ জন চিকিত্সাধীন এবং ৬২৮ জন সুস্থ হয়ে অব্যাহতি পেয়েছেন। দেশব্যাপী লকডাউনকে কেন্দ্র দ্বিতীয় দফায় বাড়ানোর আগেই এই রাজ্য লকডাউন বাড়িয়েছিল ৭ মে পর্যন্ত।

Advertisement

এখন, একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে রাজ্যে ফের লকডাউন সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়েছে, বিশেষত হায়দরাবাদের আশেপাশের তিনটি জেলা- রঙ্গা রেড্ডি, মেডচাল এবং ভিকারাবাদে- সরকারও এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে।

চিকিত্সা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ১,০৮৫ টি করোনা পজিটিভ ক্ষেত্রে ৭১৭ টিই (৬৬.০৮ শতাংশ) চারটি জেলার অন্তর্গত।

Advertisement

“নিহতদের মধ্যে ৮২.২১ শতাংশ এই চারটি জেলার অন্তর্গত। গত দশদিন ধরে কেবলমাত্র এই জেলাগুলিতেই সর্বাধিক সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং, এই চারটি জেলাতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। লকডাউন যেমন আছে তেমন চালিয়ে যাওয়া হবে, যদি প্রয়োজন হয় তবে আরও কঠোরভাবে হবে,” লেখা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে, কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রের কিছু অংশ খুলে দিয়েছে।

Advertisement

সার, বীজের দোকান এবং কৃষি সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রগুলি খুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের কোনও দেশই আমাদের খাওয়াতে পারবে না... খাদ্য সুরক্ষায় আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা হারাতে পারি না।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নির্মাণ কার্য এবং সিমেন্ট উত্পাদন ও বিক্রয় ইউনিটগুলিও খোলা থাকবে।

আরও শিথিলকরণের প্রশ্নটি ১৫ মে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement