দু'মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে শুরু হল দেশের আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা। আর এদিনই মুম্বই, দিল্লি সহ বহু রাজ্যের বিমানবন্দরেই যাত্রীরা অভিযোগ করলেন, বহু বিমানই বাতিল হয়েছে। অথচ যাত্রীদের আগে থেকে কোনও বিমান সংস্থাই এবিষয়ে কিছু জানায়নি। দিল্লিতে বাতিল হয়েছে ৮২টি উড়ান। সেখানকার ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নং টার্মিনালে যাত্রীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের একেবারে শেষ মুহূর্তেও কিছু জানানো হয়নি। একই দৃশ্য মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। সেখানেও বহু যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা যায়, যাঁরা এখানে এসে জানতে পেরেছেন তাঁদের উড়ান বাতিল হয়েছে।
মুম্বই বিমানবন্দরে আপাতত দৈনিক পঞ্চাশটি বিমান ওঠানামা করবে। তার মধ্যে ২৫টি অবতরণ করবে। বাকি ২৫টি উড়ে যাবে।
‘‘আমরা দিল্লি যাচ্ছিলাম। এখানে পৌঁছনোর পরে আমাদের বলা হয়, উড়ান বাতিল হয়েছে। একজন কাস্টমার কেয়ার কর্মী আমাদের জানিয়েছেন, আজ রাতের এক উড়ানে হয়তো আমরা উঠতে পারব। কিন্তু কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।'' সুটকেসের উপরে বসে থাকা এক মহিলা NDTV-কে একথা জানিয়েছেন। তাঁর বিমান ছাড়ার কথা ছিল সকাল ১১.০৫-এ।
এদিন মুম্বইয়ে টার্মিনালের বাইরে বিরাট ভিড় লক্ষ করা যায়। সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং হচ্ছে, বলে সময়ও বেশি লাগছে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে।
এদিকে করোনা সংক্রমণের বিপুল সংখ্যার কথা মাথায় রেখে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য বিমান পরিষেবা শুরুর ব্যাপারে সময় চাইলেও শেষ পর্যন্ত জানায়, তারা ৫০টি করে উড়ান দৈনিক মুম্বই থেকে পরিচালনা করবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছিলেন, বিমান পরিষেবা শুরুর জন্য তাঁদের কিছুটা সময় লাগবে।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল, সোমবার থেকে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা শুরু হবে। তবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা এখনও বন্ধই থাকবে। কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী হরদীপ পুরী জানিয়েছেন, জুন মাস থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হতে পারে।