যাত্রীদের নিজেদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
নয়াদিল্লি: লকডাউন চলাকালীন দেশিয় বিমান ভ্রমণের নতুন নিয়ম সরকার আজ প্রকাশ করেছে। নয়া নির্দেশিকায় যাত্রীদের নিজেদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যগুলিকে বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস টার্মিনালের প্রস্থানস্থলে থার্মাল স্ক্রিনিং নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। নির্দেশিকাটি নাগরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী শেয়ার করেছেন। মন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছিলেন যে COVID-19 ভাইরাসের ‘ভবিষ্যতে গতিপ্রকৃতি' বোঝা গেলে জুনের মাঝামাঝি বা জুলাইয়ের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
“কোনও অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর কোভিড-১৯ লক্ষণ দেখা গেলে নির্ধারিত ক্লিনিকাল প্রোটোকল অনুসরণ করা হবে। রাজ্যগুলিও তাদের নিজস্ব মূল্যায়ন অনুযায়ী পৃথকীকরণ এবং বিচ্ছিন্নতার জন্য তাদের নিজস্ব প্রোটোকল অনুসরণ করতে পারে,” বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের (বিমান / ট্রেন / আন্তঃরাজ্য বাস ভ্রমণ) নির্দেশিকা অনুযায়ী, সংস্থাগুলি দ্বারা ভ্রমণকারীদের টিকিট সহ ‘কী করবেন ও কী করবেন না' সরবরাহ করা হবে। মন্ত্রক জানিয়েছে যে, অ্যাসিম্পটম্যাটিক বা উপসর্গহীন যাত্রীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনের জন্য নিশ্চিত করার পরেই ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া উচিত।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে জারি লকডাউনের প্রায় দুই মাস পরে বিমান চলাচল শুরুর ঠিক একদিন আগে এই নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় রেলপথ গত সপ্তাহে ১০০ জোড়া ট্রেনের একটি তালিকা জারি করেছিল যেটি ১ জুন থেকে চলাচল করবে, এতে দুরন্ত, সম্পর্ক ক্রান্তি, জন শতাব্দী এবং পূর্বা এক্সপ্রেসের মতো জনপ্রিয় ট্রেনগুলি চালু হবে।
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিশ্চিত করবে যে সমস্ত যাত্রী প্রস্থানের সময় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যাবে এবং কেবলমাত্র উপসর্গহীন যাত্রীদেরই বিমান, ট্রেন বা বাসে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
মাস্ক ব্যবহার এবং হাত স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক
বোর্ডিং এবং ভ্রমণের সময়, সমস্ত যাত্রী মুখের মাস্ক ব্যবহার করবেন এবং হাতের স্বাস্থ্যবিধি, শ্বাস প্রশ্বাসের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবেন এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবেন, নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে।
বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনালগুলিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনাল স্যানিটাইজ করতে হবে
বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনালগুলিকে নিয়মিত স্যানিটাইজ বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং সাবান এবং স্যানিটাইজারের সহজলভ্যতা নিশ্চিত কররতে হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে।
প্রস্থানের জায়গায় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে এবং উপসর্গহীন যাত্রীরা নিজেদের ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টাইনে রাখবে এবং নিজেদের স্বাস্থ্যের উপর নজরদারি রাখবে এই শর্তে বাড়ি যেতে দেওয়া হবে, বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। “যদি তাদের কোনও লক্ষণ দেখা দেয় তবে তারা জেলা নজরদারি অফিসারকে বা রাজ্য / জাতীয় কল সেন্টারকে (১০৭৫) অবহিত করবেন,” লেখা রয়েছে নির্দেশিকায়।
লক্ষণ রয়েছে যাদের তাদের পৃথক করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাঝারি বা বা ভালোরকমের লক্ষণ রয়েছে যাদের তাদেরকে COVID কেন্দ্রে ভর্তি করা হবে এবং সেইমতোই পরিচালনা করা হবে বলে নির্দেশিকাটিতে বলা হয়েছে।
উপসর্গহীন যাত্রীদের বিমানে বা অন্য মাধ্যমে উঠতে দেওয়া হবে
হালকা লক্ষণ রয়েছে যাদের তাদের আইসিএমআর প্রোটোকল অনুযায়ী উপযুক্ত এবং পরীক্ষিত কোভিড কেয়ার সেন্টারে (সরকারি ও বেসরকারি দুই) আইসোলেসন বা হোম কোয়ারান্টাইনের বিকল্প দেওয়া হবে। “যদি কোভিড পজিটিভ হয় তবে ক্লিনিকাল প্রোটোকল অনুযায়ী তাদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে রাখা হবে। যদি নেগেটিভ হয় তবে যাত্রীকে বাড়িতে যেতে দেওয়া যেতে পারে, তাকে সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং আরও ৭ দিন তার স্বাস্থ্যের উপর নজরদারি রাখা হবে,” জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
যদি কোনও লক্ষণ দেখা দেয় তবে তাদের জেলা নজরদারি অফিসার বা রাজ্য বা জাতীয় কল সেন্টারকে (১০৭৫) অবহিত করতে হবে, বলেও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
মন্ত্রক জানিয়েছে যে, রাজ্যগুলি তাদের মূল্যায়ন অনুসারে পৃথকীকরণ এবং বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে নিজস্ব প্রোটোকল ব্যবহার করতে পারে।