Lockdown Guidelines: আগামী ২০ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ক্ষেত্রকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার ভাবনা
হাইলাইটস
- ২০ এপ্রিল থেকে দেশের বেশ কিছু ক্ষেত্রকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হবে
- বুধবার লকডাউন গাইডলাইন প্রকাশ করে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
- করোনা সংক্রমিত অঞ্চল নয় এমন এলাকাগুলোতেই ওই কাজ শুরুর ভাবনা
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়া রুখতে মঙ্গলবারই দেশ জুড়ে লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ৩ মে পর্যন্ত করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়েই অবশ্য তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২০ এপ্রিল থেকে দেশের কিছু কিছু ক্ষেত্রকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার ভাবনাচিন্তা করছেন। সেই অনুযায়ীই আজ (বুধবার) লকডাউনের এক নয়া নির্দেশিকা (Lockdown Guidelines) জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের লকডাউন-গাইডলাইন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ২০ এপ্রিল থেকে কৃষিকাজ সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। ছাড় দেওয়া হবে আইটি, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহণের ক্ষেত্রেও।
কেন্দ্রের তরফ থেকে বুধবার জানানো হয়েছে ২০ এপ্রিলের পরে COVID-19 এর হটস্পট নয় এমন অঞ্চলগুলোতে সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কৃষি পণ্য সংগ্রহ ও কৃষি বিপণনের কাজ শুরু করা হবে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে প্রত্যক্ষ ও বিকেন্দ্রীভূত বিপণন সহ কৃষিকাজেরও অনুমতি দেওয়া হবে ওই অঞ্চলগুলোতে।
করোনা ভাইরাস প্রাণ কাড়ল ৩৭৭ জনের, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শিকার ৩৮, সংক্রমিত ১১,৪৩৯ জন
দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, হাঁস-মুরগি, চা, কফির সরবরাহ, রবার বাগানের কাজ, লাইভ-স্টক ফার্মিং সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে ফের কাজ শুরু করা হবে।
"লকডাউনের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই পরিস্থিতিকে চাঙ্গা করার জন্যে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সহ গ্রামাঞ্চলে কর্মরত শিল্পগুলি; গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট, সেচ প্রকল্প, ভবন এবং শিল্প প্রকল্প গুলি; সেচ ও জল সংরক্ষণের কাজ এগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে মনরেগার অধীনে কাজ ফের শুরু করা হবে; এবং এই বিষয়ে গ্রামীণ কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির (সিএসসি) কর্মীদের ওই কাজগুলো পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে", বলা হয় ওই লকডাউন নির্দেশিকায়।
৩ মে পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন চলবে, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে করোনা ভাইরাস দ্রুতহারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে ওই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৩৭৭ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, শুধু গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনার শিকার হয়েছেন ৩৮ জন, দেশ (Coronavirus in India) জুড়ে মোট সংক্রমিত ১১,৪৩৯ জন।
দেশের মধ্যে যে রাজ্যগুলোতে সবচেয়ে বেশী করোনার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে সেগুলো হল, মহারাষ্ট্র (২,৬৮৭), দিল্লি (১,৫৬১), তামিলনাড়ু (১,২০৪), রাজস্থান (৯৬৯), মধ্যপ্রদেশ (৭৩০)।