করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় অসামরিক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা। তবে প্রায় ২ মাস বন্ধ (Lockdown) থাকার পর সোমবার থেকেই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে বিমান চলাচল (Domestic Air Travel)। বিমান পরিষেবা আপাতত দেশের কয়েকটি রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি সোমবারের বিমান চলাচল সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বিমান যাত্রা শুরু করায় পর গত একদিনে ৫৮,০০০ এরও বেশি যাত্রী চলাচল করেছে। পরিষেবা শুরু হওয়ার পর এতদিন ধরে প্রায় খাঁ খাঁ করে বিমানবন্দরগুলিতেও ফিরেছে ব্যস্ততা। অজস্র এবং যাত্রীরা আবার বাতাসে ফিরে এসেছে।
প্রথম দিনেই ৮৩২ টি বিমানে মোট ৫৮,৩১৮ জন যাত্রী, ২৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি টুইটে জানান, সোমবার থেকে অন্ধ্রপ্রদেশেও বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বিমানের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সোমবার বিভিন্ন বিমানবন্দরেই ব্যস্ততা চোখে পড়ে। তবে বিমান পরিষেবা চালু হলেও ভালো রকমের বিশৃঙ্খলার ছবিও ফুটে ওঠে। ওইদিন থেকেই সব রাজ্যে বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার কথা থাকলেও কিছু কিছু রাজ্য আপত্তি জানালে বেশ কিছু বিমান বাতিল করতে হয়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় বিমান যাত্রীদের। শেষ মুহুর্তে কিছু বিমান বাতিল হওয়ায় বহু যাত্রী বিমানবন্দরেই আটকে পড়েন।
এদিকে টাটা গ্রুপ ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে বেসরকারি বিমানসংস্থা স্পাইসজেট, ভিস্তারা, ইন্ডিগো সহ অনেকেই কঠোর নিয়ম মেনে তাঁদের বিমান পরিষেবা চালু করে সোমবার থেকেই। ওই বিমান সংস্থাগুলো তাদের পরিবহণ সামর্থ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ যাত্রী নিয়ে বিমান চলাচল শুরু করে।
তবে মুম্বই ও চেন্নাই সহ বড় বড় বিমানবন্দরগুলিতে করোনা ভাইরাসজনিত নতুন বিধিনিষেধের কারণে বিমান চলাচলে বেশ দেরি হয়।
বিশ্লেষকরা যদিও বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন এই বলে যে, লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে ফিরতে হলে বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা অতি আবশ্যিক। না হলে গত দুইমাসের লকডাউন সতর্কতার ফলে যতটুকু বা করোনা সংক্রমণ আটকানো গেছিল তার সমস্তই বিফলে যাবে। তাই বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেও নানা রকম বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
এদিকে দেশে লাগাতার বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ওই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৫৩৫। এর ফলে দেশে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১,৪৫,৩৮০ জনে, মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এই মুহূর্তে ভারতের করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যার মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০,৭২২। এখনও পর্যন্ত ৬০,৪৯০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন করোনা সংক্রমণ থেকে। মৃত্যু হয়েছে ৪,১৬৭ জনের।