মধ্যরাত থেকে আহমেদাবাদে পুরোপুরি লকডাউন চালু হয়ে যায়, শুধুমাত্র ওষুধ ও দুধের দোকান খোলা রাখা হয়
মুম্বই: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়া রুখতে মধ্যরাত থেকেই আহমেদাবাদে (Gujarat's Ahmedabad) লকডাউন জারি করা হয়েছে, নব নিযুক্ত একদল আধিকারিক গুজরাটের দায়িত্ব নিয়েছেন। শহরে বাইরে যায় আধা সামরিক বাহিনী, নতুন ৫ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী সেখানে পৌঁছায় বুধবার। কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে শুধুমাত্র দুধ ও ওষুধের দোকান খোলা রাখা হয়। গত সন্ধ্যা পর্যন্ত আহমেদাবাদে ৪,৪৩৫ জন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে, সেরাজ্যে মোট আক্রান্ত ৬,৬২৫ জন। করোনার বলি ২৭৩ জন, অর্থাৎ মৃত্যুর হার ৬.১ শতাংশ, সেখানে দেশে এই হার ৩.৩ শতাংশ, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনই জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের পর, দেশে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত গুজরাতে।
লকডাউন বজায় রাখতে শহরে আরও পাঁচ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কেমিক্যাল প্ল্যান্ট থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়ে মৃত কমপক্ষে ১১ জন, অসুস্থ বহু
অত্যাবশকীয় পণ্য সামগ্রি ঘরে মজুত করে রাখতে মানুষের ভিড় লেগে যায় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়, তারমধ্যেই সেখানে লকডাউন জারি করা হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় দোকান এবং সব্জির ঠেলার সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘিত হয় এবং সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্তে বেরনো নিষিদ্ধ করা হয়।
গুজরাট মেরিটাইম বোর্ডের প্রধান এবং ভাইস চেয়ারম্যান মুকেশ কুমারের সংস্পর্শে আসার পরেই কোয়ারান্টিনে চলে যান পুর কমিশনার বিজয় মেহরা।
শহরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় এবং পুরো ব্যাপুারটির দেখভাল করবেন রাজ্যের বন ও পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজীব কুমার গুপ্তা।
বুধবার লকডাউনের নির্দেশে, আহমেদাবাদ পুরনিগমের তরফে বলা হয়েছে, সুপার মার্কেট, মুদির দোকান এবং সব্জির ঠেলাগুলি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে এবং সেগুলিও ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
করোনা রোগীদের পাশেই পড়ে আছে ওই রোগের কারণে মৃত ব্যক্তিদের দেহ! দেখুন ভয়ঙ্কর সেই ভিডিও
নিষিদ্ধ করা হয়েছে খাবারের হোম ডেলিভারিও, পুরনমিগমের তরফে বলা হয়েছে, সংক্রমণ ছড়ায় সুইগি ও জম্যাটোর ডেলিভারি বয়দের মাধ্যমেও।
বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলি না খুললে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ২৫ মার্চ লকডাউন জারির পরেই বেশিরভাগ হাসপাতাল এবং ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে
পুরনিগমের তরফে আরও স্থির করা হয়, অতিমারী সংক্রমণ আইনের আওতায় ৯টি বেসরকারি হাসপাতাল ১,০০০টি করে শয্যা বিশিষ্ট করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।