This Article is From Apr 13, 2020

কাজে ফিরছেন মন্ত্রীরা, তবে গণপরিবহণের অভাবে দফতরে যেতে সমস্যায় সাধারণ কর্মীরা

Coronavirus cases in India: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, ডিভি সদানন্দ গৌড়া, অর্জুন মুণ্ডা এবং কিরেন রিজিজু সহ অনেক মন্ত্রীই যোগ দিচ্ছেন কাজে

India COVID-19 Cases: মন্ত্রকে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয় মন্ত্রীদের

হাইলাইটস

  • লকডাউনের মধ্যেই নিজেদের গাড়িতে করে দফতরে আসছেন মন্ত্রীরা
  • কর্মসংস্কৃতি চালু করতেই ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
  • তবে গণপরিবহণ চালু না থাকায় দফতরে আসতে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ কর্মচারীরা
নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) এড়াতে লকডাউনের জেরে প্রায় গোটা দেশ স্তব্ধ। তবে সরকারি গাড়ি বরাদ্দ থাকায় লকডাউনের (Lockdown) মধ্যেই এবার ধীরে ধীরে কাজে ফিরছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আধিকারিকরা। সোমবার বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই (Ministers) দেখা যায় নিজের দফতরে যেতে। কিন্তু সমস্যায় পড়েছেন ওই দফতরে কাজ করা সাধারণ কর্মচারীরা। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে যাবতীয় গণপরিবহণ ব্যবস্থা। ফলে যাঁদের জন্যে সরকারি গাড়ি বরাদ্দ নেই সেই সাধারণ কর্মচারীরা কীভাবে দফতর পর্যন্ত পৌঁছবেন তা ভেবে অকূলপাথারে তাঁরা। গত শনিবার করোনা ভাইরাস মহামারীর সঙ্গে যুঝতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনাতেই সায় দেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে এতদিনের লকডাউনের ফলে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। আর এই নিয়েই উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী। সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ধীরে ধীরে দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে ফের কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর আভাসও দেন তিনি। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার থেকে নিজেদের মন্ত্রকে যাচ্ছেন বহু মন্ত্রী।

"যথাযথ সুরক্ষা নিয়ে" উৎপাদন কাজ শুরু করার বিষয়ে সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রকের

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, রাসায়নিক ও সারমন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড়া, উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা এবং যুব প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু আজ (সোমবার) নিজের দফতরে গিয়ে কাজে যোগ দেন।

মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি সহযোগী কর্মীদেরও কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রীদের বলা হয়েছে আপাতত ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ চালাতে হবে। কিন্তু সমস্যাটা এখানেই হয়েছে, যে সব সাধারণ কর্মীদের জন্যে কোনও সরকারি গাড়ি বরাদ্দ নেই তাঁরা কীভাবে এই লকডাউনের সময় দফতরে যাবেন তা নিয়ে চিন্তায় মাথায় হাত। কেননা গণপরিবহণও এখন পুরোপুরি বন্ধ। ফলে দফতরে পৌঁছনোর জন্যে  নিজস্ব উপায় খুঁজে বের করতে হচ্ছে তাঁদেরকেই।

রাজধানী জুড়ে আতঙ্ক, দিল্লির ক্যানসার হাসপাতালেই এখন ২৮ জন আক্রান্ত করোনায়

কিরণ রিজিজু সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, "কেবলমাত্র উর্ধ্বতন আধিকারিক এবং খুব অল্প সংখ্যক কর্মীরাই দফতরে আসবেন। আমরা COVID-19 সম্পর্কিত সমস্ত সতর্কতা অনুসরণ করব"। আপাতত কর্মীরা রোটেশনের ভিত্তিতে কাজ করবেন বলে জানা গেছে।

দেখা গেছে, মন্ত্রীরা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকরা নিজেদের দফতরে পৌঁছলে তাঁদের সকলকেই প্রথমে থার্মাল স্ত্রিনিং করা হচ্ছে। এমনকী তাঁদের যানবাহনগুলিও প্রবেশদ্বারের কাছে স্যানিটাইজ করা হয়। যদিও অভিযোগ কয়েকজন মন্ত্রী ও তাঁদের সচিবকে নাকি থার্মাল স্ক্যানিং করা হয়নি। 

.