বিহারের নাগরিক যারা অন্য রাজ্যে আটকে, তাঁদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন খাতে ১০০ কোটি বরাদ্দ করেছে বিহার সরকার। (ফাইল)
হাইলাইটস
- "পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরালে কার্যসিদ্ধি হবে না লকডাউনের"
- শনিবার সমালোচনার জবাবে বললেন নীতীশ কুমার
- বরং স্থানীয় স্তরে শিবির খোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি
পটনা: বিহার থেকে নিজের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরালে লকডাউনের (Nationwide Lockdown) কার্যসিদ্ধি হবে না। শনিবার এ ভাষাতেই সব সমালোচনার জবাব দিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রের জারি করা লকডাউনের আগে প্রস্তুতি নিতে দেওয়া হয়নি রাজ্যগুলোকে। এমনকি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকেও (Bihar Government) সমান দোষে দুষ্ট করেছে বিরোধীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকে ভসে রাজ্যের শ্রমিকদের ফেরাতে মানবিক না বিহার সরকার।বিহারে আটক অন্য রাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এদিন এই সমালোচনার জবাব এনডিটিভি-কে দিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের, তাঁদের রাজ্যরে ফেরালে লকডাউনের কার্যসিদ্ধি হবে না। উলটে বাড়তে পারে সংক্রমণের হার।" তাঁর পরামর্শ, "বরং স্থানীয় স্তরে শিবির তৈরি করে সেই শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। খাদ্য-পানীয়ের আয়োজন করা হোক। সব খরচা পরিশোধ করবে সরকার।"
"শুধু লকডাউন না, ভারতের আরও ভালো প্রাপ্য", টুইট প্রশান্ত কিশোরের
ইতিমধ্যে এই খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বিহার সরকার। জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসন কিংবা কোনও অলাভজনক সংস্থা এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিলে আর্থিক দায়ভার রাজ্যের। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, কেউ হাঁটছেন ১৮০ কিমি। কেউ বা ১৫০ কিমি। কেউ আবার ২০০কিমি। সেই মঙ্গলবার থেকে তাঁরা হাঁটছেন, শুধুমাত্র গ্রামে ফিরতে। এই তাঁরা; প্রত্যেকেই দিনমজুর কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক (Migrants workers)। যাদের বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশের । দিল্লি থেকে কিংবা পড়শি রাজ্য থেকে হেঁটেই ফিরছেন তাঁরা। কারণ, ২১ দিনের লকডাউনের জেরে বন্ধ কর্মকাণ্ড;। ফলে নেই কাজ, আশ্রয়। তাই মাথা গোঁজার ঠাই পেতে গ্রামের বাড়ি এখন একমাত্র সম্বল। সেই আশায় পথে নেমেও নিস্তার নেই। পড়তে হয়েছে পুলিশের জুলুমের মুখে। লাঠির গুঁতো খেয়েছেন অনেক শ্রমিক। এবার এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগ নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পড়শি রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ১০০০ বাস পথে নামাল সরকার। জানা গিয়েছে, পড়শি রাজ্যের ইউপি লাগোয়া জেলা থেকে সেই শ্রমিকদের রাজ্যের একাধিক জায়গায় পৌঁছে দেবে বাসগুলো। শনিবার এমনটা জানিয়েছেন ইউপি সরকারের এক কর্তা।