Read in English
This Article is From Mar 27, 2020

করোনার আতঙ্কে বন্ধ ত্রাণ শিবির থেকে ফের পোড়ো বাড়িতেই ফিরছেন দিল্লি হিংসার আর্তরা

মাথা গোঁজার আশ্রয়, সেই দগ্ধ বাড়িতেই ফিরছেন পরিবারের মানুষরা। এই টানাপোড়েনে নিজের শহরেই এখন উদ্বাস্তু শ' দুয়েক মানুষ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

করোনা আতঙ্কে বন্ধ ত্রাণ শিবির

Highlights

  • করোনা সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ ত্রাণ শিবির। মাথা গোঁজার ঠাই পেতে ভরসা দগ্ধ বাড়ি
  • কিন্তু নেই টাকা, নেই খাওয়ার, নেই সাহায্য। তাই ভিক্ষা করে দিন গুজরান
  • এমন বেদনার কথাই জানালেন দিল্লি হিংসার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
নয়া দিল্লি :

উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদে খোলা হয়েছিল ইদগাহ ত্রাণ শিবির (North-East Delhi Relief Camps)। আশ্রয় পেয়েছিলেন দিল্লি হিংসায় (Delhi Violence) সর্বহারা ৫০টি পরিবার। কিন্তু সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়ার আগেই ফের আতঙ্ক গ্রাস করল ওই পরিবারগুলিকে। করোনা প্রতিরোধে (Covid-19) জারি করা লকডাউন মানতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই ত্রাণ শিবির। তাই মাথা গোঁজার আশ্রয় হিসেবে দগ্ধ বাড়িতেই ফিরছেন পরিবারের মানুষরা।এই টানাপোড়েনে নিজের শহরেই এখন 'উদ্বাস্তু' শ' দুয়েক মানুষ। আগুনের গ্রাসে কঙ্কালসার সেই বাড়িতে ফিরলে কী হবে, খাবার জোগান কে দেবে, জানেন না তাঁরা। চলছে লকডাউন! বাড়ি থেকে বেরনো বারণ। ফলে ভিক্ষা করেই দিন গুজরান ওই ৫০টি পরিবারের। এমন এক পরিবারের প্রৌঢ়া সদস্য শিববিহারের মুনিসা এনডিটিভিকে বলেছেন, "ওরা আমার সর্বস্ব লুট করেছে। টাকা, মেয়ের বিয়ের গয়না। পুড়িয়ে দিয়েছে বাড়িও। এখন আমার কাছে কিছুই নেই। না টাকা, না ঘর, না খাবার।" 

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৫০ লাখ অনুদান সচিন তেন্ডুলকরের

তাঁর দাবি, "বাড়ি ফিরে যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে খুঁজেছিলাম। পরে মনে পরে গদির নীচে ২৫ হাজার টাকা রেখেছিলাম। সেটা নিতে গিয়ে দেখি পোড়া কাগজ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।" অপর এক আর্ত জাইবুনিশা কান্না ভেজা কণ্ঠেই জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি পুড়ে খাক। কেউ যদি দয়া করে খেতে দেয়, খাবার পাচ্ছেন। নয়তো খিদে পেটেই তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে।

দিল্লি হিংসার বলি ৫৪। গৃহহীন শয়ে শয়ে মানুষ। 

এদিকে গত দু'দিনে সে রাজ্যে নতুন করে ৫ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। এই সংখ্যা ধরে দিল্লিতে মোট সংক্রমিত ৩৬। রাজ্যবাসীকে যাতে খিদে চেপে রাত না কাটাতে হয়, তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রায় ৭২ লক্ষ মানুষের পর্যাপ্ত রেশনের জোগান রাখতে খাদ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ ৭০০ ছাড়িয়েছে। মৃত ১৬। ২১ দিন ব্যাপী লকডাউনের তৃতীয়দিনে গৃহবন্দি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা। 

Advertisement