ভিডিও বৈঠকে দু’জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বললেন রাহুল গান্ধি।
নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) বারবার সরব হয়েছেন করোনা ভাইরাস (Coronavirus) লকডাউনের (Lockdown) ধাক্কায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তার বিরুদ্ধে। করোনা অতিমারীর সঙ্গে সম্পর্কিত জ্বলন্ত কয়েকটি ইস্যু নিয়ে তিনি আলোচনা করলেন দুই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তাঁরা হলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশিস ঝা ও সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জোহান গিয়েস্কে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি জানালেন, ‘‘যদি মানুষ বলেন ৯/১১ একটা অধ্যায়, তাহলে বলতেই হবে করোনা ভাইরাস একটা গ্রন্থ।'' গত মাসে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকের মাধ্যমে কথা বলা শুরু হয় রাহুল গান্ধির। এর আগে তিনি নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন রাহুল।
বৈঠকে অধ্যাপক জোহান গিয়েস্কে বলেন, করোনা ভাইরাস যেটি একটি লঘু অসুখ, তা পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। তিনি দাবি করেন, ‘‘ভারত অতি মারাত্মক লকডাউনের ধাক্কায় নিজেদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই অসুখ খুবই লঘু। বহু মানুষ, যাঁদের এই অসুখ হয়েছে তাঁরা বুঝেও উঠতে পারেন না। যদিও বয়স্ক এবং দুর্বলদের এই রোগ থেকে রক্ষা করা দরকার। তবুও অসুস্থতার চেয়েও মারাত্মক লকডাউনের কারণে আরও বেশি মৃত্যু হতে পারে।''
অধ্যাপক আশিস ঝায়ের মতে, লকডাউন সময় বাঁচাতে পারে। কিন্তু এটা সমাধান নয়। বরং পরীক্ষা ও আইসোলেশনের যথাযথ পরিকাঠামো তৈরি করার পাশাপাশি মানুষকে এটা বিশ্বাস করানো দরকার যে জীবন অনেক বদলে যেতে চলেছে। তাঁর মতে, মানুষকে বেশি ভয় পাইয়ে দিলে তাঁরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে চাইবেন না। তাঁর দাবি, কোনও দেশই সেটা ভাল করে করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ভাইরাস আরও ১২-১৮ মাস থাকবে। ২০২১ পর্যন্ত এটা থাকবেই। দুর্বল ব্যক্তিদের একটি সময় কাঠামো জানালে তাঁদের পক্ষে লড়াই করা সহজ হবে।''
তিনি জানিয়েছেন, করোনার টিকা সম্পর্কেও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যেন সবথেকে বেশি মানুষ সেটি পায়। আমেরিকা, চিন ও অক্সফোর্ডে তিনটি টিকার পরীক্ষাতে বেশ ভাল ফল মিলেছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাস পৃথিবীর শেষ মহামারী নয়। বিশ্বায়ন অনেক কিছু বদলে দিয়েছে।
অধিকাংশ মহামারীর অসুখই পশু থেকে মানুষে এসেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন এটাকে আরও খারাপ করে তুলবে। মানুষ যত মাংস খাবে, পশুর সঙ্গে সংযোগ তত বাড়বে।''