Tiktok: তদন্ত অনুসারে ধর্মীয় উস্কানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে টিকটক হ'ল সবচেয়ে পছন্দের মাধ্যম
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাস থাবা বসাতে পারবে না কোনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের শরীরে
- ভুয়ো তথ্য সমৃদ্ধ ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল সাইটগুলোতে
- লকডাউনের সময় বিভ্রান্ত করতে এরকম ৩০,০০০ বেশি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
নয়া দিল্লি: দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে, এই ভাইরাস কিস্যু করতে পারবে না তাঁদের। তাই সরকারি পরামর্শ মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও দরকার নেই, এমন ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে টিকটক (Tiktok), হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp)। দিল্লি পুলিশের মতে, কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবেই এই ধরণের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার করছেন, যার ফলে সরকারকে এই লকডাউন পরিস্থিতি বজায় রাখতে বেশ অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হচ্ছে। দেশ জুড়ে লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটকের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে যে ধরণের বিষয়বস্তুগুলো শেয়ার করা হচ্ছে তার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, মূলত মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কানি দিতেই নানা ভুয়ো ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে, যা খুবই চিন্তার।
গত পাঁচ দিনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে ৩০,০০০ এরও বেশি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভুয়া তথ্যে ভরা এবং ওই পোস্টগুলি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের দর্শকদের জন্যেই হিন্দি ও উর্দুতে তৈরি করা হয়েছে, জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি মানুষজন এই ধরণের ভুয়ো ভিডিওগুলি দেখেছেন এবং প্রভাবিতও হয়েছেন।
করোনার সঙ্গে লড়ার জন্যে ভারতকে ১ বিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য বিশ্বব্যাংকের
"এই ভিডিওগুলির মধ্যে বেশিরভাগ ভিডিওই পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভারতে এই ধরণের ভিডিও আবার হিন্দিতে ডাবিং করেও ব্যবহার করা হয়েছে", একটু ২২ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
"আমাদের এই বিশ্লেষণ আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ, যে বিপুলসংখ্যক ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে তাতে বলা হয়েছে যে মুসলমানদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনও প্রয়োজন নেই এবং বেশ কয়েকটি ভিডিওতে একথাও বলা হচ্ছে যে করোন ভাইরাস কোনও মুসলমানকে মারতে পারবে না", জানান এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক।
"বাস্তবটা বুঝুন": প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর আবেদনকে কটাক্ষ বিরোধীদের
তাঁর মতে, সুপরিকল্পিতভাবেই এই ধরণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশ জুড়ে। আর এই ভুয়ো তথ্য প্রচারের জন্যে একটি নির্দিষ্ট ধরণও মেনে চলা হচ্ছে। "এই ভিডিওগুলির উৎস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা গেছে যে মূলত এগুলি তৈরি করা হচ্ছে যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে সেগুলি নিয়মিতভাবে ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে অ্যাকাউন্টটি", বলেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
তদন্ত অনুসারে, চিনের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন টিকটকই এই ধরণের ধর্মীয় উস্কানিমূলক এবং করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত ভুয়ো তথ্য সমৃদ্ধ ভিডিও তৈরি এবং ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে সবচেয়ে পছন্দসই মাধ্যম। এই ভিডিওগুলিই আবার হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টুইটারে শেয়ার করা হচ্ছে।