Read in English
This Article is From Apr 29, 2020

লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়াদের ঘরের ফেরার অনুমতি

রাজ্যগুলিকে নোডাল কমিটি তৈরি করতে বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, এবং পরিযায়ীদের সফরের ব্যাপারে তারা নিয়মাবলী তৈরি করবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

যাঁদের কোনও লক্ষণ থাকবে না, তাঁদের সফর করতে দেওয়া হবে (ফাইল)

লকডাউনের ফলে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের শরীরে করোনা ভাইরাস লক্ষণ না থাকলে তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফেরার অনুমতি পাবেন, জানাল কেন্দ্রীয় সরকার, পাশাপাশি একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। লকডাউনের ফলে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ, তারমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নেই, তাঁদের ঘরে ফেরার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দিতে বলা হয়, তার একদিন পরেই এই পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই হরিয়ানায় আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরাতে উত্তরপ্রদেশকে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র, ফলে সড়ক, রেল, বিমান পরিষেবা বন্ধ এবং সীমানা দিয়ে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশিকা ও লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলি

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1. নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, নোডাল তৈরি করতে এবং আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে গাইডলাইন তৈরি করতে। সেই নির্দেশিকায়.বলা হয়েছে, “সফরতদের স্ক্রিনিং করা হবে এবং যাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যাবে না, তাঁদের অনুমতি দেওয়া হবে”। আরও বলা হয়েছে, গন্তব্যে পৌঁছানোর পর, তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারান্টিনে থাকবে হবে যদি না কোনও জায়গায় তাঁদের কোয়ারান্টিনে রাখা হয়।
     

  2. ভিন রাজ্যে সফরের জন্য বাস পরিষেবা চালু হবে, এবং সফরচলাকালীন তাঁদের স্যানিটাইজড করা হবে বলেও নির্দেশিকায় বলা হয়। আসনের ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে।
     

  3. লকডাউন শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে এই নির্দেশিকা জারি করা হল। সোমবার, প্রায় ১০টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেখানে লকডাউন তোলা নিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে লকডাউন আরও চালানো প্রয়োজন বলে জানায় পঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য।
     

  4. সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা বলেন, “কতজনকে সফর করানো যাবে, তা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার...আমরা সবরকম পদক্ষেপ করছি”।
     

  5. সূত্রের খবর, বিজেপির থেকে চাপ আসায়, আটকে পড়া লোকজনদের সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে পড়ার বিষয়টি দলের রাজনৈতিক ক্ষতি করতে পারে, এই নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয় এবং দলের বিধায়ক ও সাংসদের সঙ্গে এই সম্পর্কে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডাকে জানানো হয়।
     

  6. Advertisement
  7. প্রথম পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশ, সপ্তাহজুড়ে হরিয়ানা সীমানা থেকে মোট ১২,০০০ এরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে স্থানান্রতি করেছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া পড়ুয়াদেরও ফেরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
     

  8. যোগী আদিত্যনাথের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুণ্ন হয় বিহার ও ঝাড়খণ্ড। লোকজনদের এই ভাবে ব্যাপকহারে চলাফেরা নিষিদ্ধ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে “দ্বিচারিতা”র অভিযোগ তুলেছেন তাঁর দলের অনেক নেতা।
     

  9. ২৫ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশজুড়ে প্রচুর মানুষ বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা আটকে পড়েন। কাজ ও অর্থহীন হয়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করতে দেখা যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের। অনেকে সেটাও পারেননি, কেউউ খাদ্য ও পানীয় জল না পেয়ে মারও গিয়েছেন কেউ কেই।
     

  10. শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রামে ফেরার হিড়িক পড়ে যায়, ফলে সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় উঠে, তারপরেই রাজ্যগুলিকে সীমানা সিল করতে বলে কেন্দ্র, এবং লকডাউনভঙ্গকারীদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে পাঠাতে বলে।
     

  11. কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের দেখাশোনা করবে সেই রাজ্যের সরকার। তবে ঘটনাস্থলের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন, দেশের বিভিন্ন প্রন্ত থেকে অনাহারের খবর আসে। দিল্লিতে, ভোর থেকে দুপুরের খাবারের জন্য মানুষকে লাইন দিতে দেখা গিয়েছে। সুরাত ও মুম্বইয়ে, প্রতিবাদে সামিল হন পরিযায়ী শ্রমিকরা, বাড়ি ফেরার অনুমতির দাবিতে প্রতিবাদ করেন তাঁরা।

Advertisement