Read in English
This Article is From Apr 17, 2020

সোমবার থেকে চালু হবে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, তবে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি কর্মী নয়

তবে সংস্থাগুলির পক্ষে এক্ষুনি ৫০ শতাংশ কর্মীকে অফিসে উপস্থিত করানো সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। সেটা করতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

সোমবার থেকে খুলছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি।

Bengaluru:

২০ এপ্রিল থেকে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি (IT Firms) কাজ শুরু করতে পারে। তবে পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী নিয়ে। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র (Central Goverment)। তবে এখুনি অর্ধেক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে না। লকডাউন (Lockdown) আংশিক ওঠার বিষয়ে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী অশ্বথ নারায়ণ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ‘বায়োকন' সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিরণ মজুমদার শ ওই বৈঠক সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘‘এটা অত্যন্ত জরুরি বৈঠক ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে কিছুটা অর্থনৈতিক সক্রিয়তা দেখা যাবেয় আপনারা জানেন তথ্যপ্রযুক্তি অত্যন্ত জরুরি ক্ষেত্র। পুলিশ যে পাস ব্যবস্থা চালু করেছে তা ভালই কাজ করেছে। এটা বাড়ানো হবে। তবে অতিরিক্ত পাস দিতে হবে এই ছাড় দেওয়ার পরে। আমরা অবশ্য খুব বেশি গাড়িকে অনুমতি দেব না। সমস্ত সংস্থাগুলি যারা নিজেদের কর্মীদের সাইটে ফেরাতে চায় তারা অবিলম্বে বিএমটিসি বাসগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করুক।''

তিনি আরও বলেন প্রতিটি অফিস চত্বরে পরীক্ষার বুথ নির্মাণ করতে হবে এবং কেউ পজিটিভ হলে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে সেরকম ক্ষেত্রে একটি গোটা সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া হলে যে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে তা স্বীকার করে নেন তিনি।

অশ্বথ নারায়ণ বলেন, ‘‘কোনও সংস্থায় যদি কেউ আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে প্রোটোকল মেনে আমরা কী করব? আমরা কি বন্ধ করে দেব নাকি কেবল স্ক্রিনিং কিংবা স্যানিটাইজ করব? আমরা প্রোটোকল মেনেই চলব। এতদিন আমরা বাসস্থান নিয়ে কাজ করেছি, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নয়। স্যানিটাইজেশন করা হবে। ইন্টারনেট সংযোগও অবিচ্ছিন্ন ভাবে মিলবে।''

Advertisement

তবে সংস্থাগুলির পক্ষে এক্ষুনি ৫০ শতাংশ কর্মীকে অফিসে উপস্থিত করানো যে সম্ভব নয় বলেই জানান তিনি। তাঁর মতে, সেটা করতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে।

‘ন্যাসকম'-এর সভাপতি দেবযানী ঘোষ NDTV-কে জানিয়েছেন, ‘‘শিল্প নেতারা সম্মত হয়েছেন যে, আমরা অগ্রাধিকার দেব মানুষকে এবং সঠিক কাজটি করব।'' তিনি জানান প্রাথমিক ভাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা হবে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সেটা পঞ্চাশ শতাংশ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। অনেকেই মনে করছেন ৩ মে-র পর থেকে ব্যবসা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হবে না। ভাইরাসটিকে ম্যানেজ করে আমরা কীভাবে বাঁচব সেটা আমাদের শিখতে হবে।''

Advertisement
Advertisement