This Article is From May 05, 2020

"জীবন স্বাভাবিক হয়নি", লকডাউনের বিধিনিষেধ লঘু করা প্রসঙ্গে বলল রাজ্য

Bengal Restrictions: রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, "জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। রাজ্যে লকডাউন ১৭ মে পর্যন্তই জারি থাকবে"

West Bengal: রাজ্যে মিষ্টির দোকান, চায়ের দোকান ও পানের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে (ফাইলচিত্র)

হাইলাইটস

  • রাজ্যে ১৭ মে পর্যন্তই বজায় রাখা হবে লকডাউন, জানাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
  • গ্রিন জোনগুলোতে অবশ্য কিছু কিছু কাজ ধীরে ধীরে শুরু করা যেতে পারে
  • তবে অধিকাংশ জায়গাতেই থাকবে লকডাউনের কড়া নিষেধাজ্ঞা
কলকাতা:

করোনা ভাইরাসের (COVID- 19 Pandemic) সংক্রমণ রুখতে দেশে জারি রয়েছে লকডাউন। কিন্তু তার মধ্য়েও দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনের পথে ফেরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে বেশ কিছু এলাকায় যেখানে এখনও সংক্রমণ (Coronavirus) সেভাবে ছড়ায়নি বা অপেক্ষাকৃত কম আছে, সেখানে বিধিনিষেধ কিছুটা লঘু (Bengal Restrictions) করা হয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সরকার বিধিনিষেধ লঘু করা নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগে রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, কোনওভাবেই কোনও কনটেইনমেন্ট জোনে লঘু করা হবে না লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা। রাজ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, "জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। রাজ্যে লকডাউন ১৭ মে পর্যন্তই জারি থাকবে"। তবে তিনি জানিয়েছেন যে, কিছু কিছু মিষ্টির দোকান, চায়ের স্টল এবং পানের দোকানগুলো সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে এই দোকানগুলিতে কোনওভাবেই কোনও ভিড় করা যাবে না বা আড্ডার ঠেক বসানো যাবে না। 

বঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের "কনটেইনমেন্ট জোন", অধিকাংশই কলকাতায়

এছাড়াও রাজ্যের গ্রিন জোনগুলোতে এবার থেকে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবায় অনুমতি দেওয়া হয়ছে। তবে বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রীর বেশি কোনওভাবেই তোলা যাবে না বলে সাফ জানিয়েছে সরকার। এছাড়া "বাসগুলিকে নিয়মিত স্যানিটাইজ বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে", একথাও বলেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা।

এছাড়া রাজ্যের কিছু কিছু শিল্প ক্ষেত্রের কাজ ও খনি থেকে খনিজ দ্রব্য তোলার কাজও শুরু করা যেতে পারে, তবে তাতে অল্প পরিমাণ শ্রমিক নিয়েই কাজ চালাতে হবে। এছাড়া রাজ্যের গ্রামীণ অঞ্চলে সব জায়গাতেই নির্মাণ কাজ চালু করা যাবে। তবে সব জায়গাতেই করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।

এছাড়া রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি অফিসও খুলতে পারে। তবে সেখানে ২৫ শতাংশ কর্মী দিয়েই কাজ করাতে হবে। ওই অফিসগুলি সকাল ১০ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যেতে পারে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "পুলিশ রাজ" চালাচ্ছেন, ফের আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল

এদিকে ব্যক্তিগত চারচাকার গাড়িগুলি সঙ্গে ই-পাস থাকলে চালক এবং দুই যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। রাজ্যের গ্রিন জোনগুলোতে এতদিন বন্ধ থাকা সেলুনগুলো এবার খোলা যেতে পারে। তবে রাজ্যের সব জায়গাতেই সব শপিং মল বন্ধ থাকবে, ফলে যে যে শপিং মলে সেলুন আছে সেগুলোও বন্ধ রাখতে হবে।

কোনও সামাজিক ক্রিয়াকলাপের জন্য সর্বোচ্চ ৭ জনের জমায়েত হতে পারে। দোকান, ডাকঘর এবং ব্যাংকগুলিতে একসঙ্গে ৭ জনের বেশি মানুষকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এই সময়ে কোনও সমাবেশ বা মিছিল করার কোনও অনুমতি নেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে সমস্ত বিধিনিষেধ যাতে মেনে চলা হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।

.