This Article is From May 23, 2020

১০ ঘণ্টা দেরি ট্রেন, খাবার, জল না পেয়ে রেললাইনে বিক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের

লকডাউনের সময় বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১৮.২৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক উত্তরপ্রদেশ ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা

১০ ঘণ্টা দেরি ট্রেন, খাবার, জল না পেয়ে রেললাইনে বিক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের

দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনের বাইরে সিগন্যালে ট্রেন দাঁড়ালে সেখানে বিক্ষোভ করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

লখনউ:

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে'(Shramik special') উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে বাড়ি রওনা হওয়া শ্রমিকরা (Migrant workers) ট্রেনের অস্বাভাবিক দেরীর অভিযোগ তুললেন, পাশাপাশি ট্রেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ তুলে রেললাইনে নেমে বিক্ষোভ করে যথাযথ ব্যবস্থারও দাবি তুললেন।এইরকমই একটি ট্রেনে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে বিহর ফেরার পথে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনের বাইরে সিগন্যালে ট্রেন দাঁড়ালে সেখানে নেমে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বিহার পৌঁছাতে ১০ ঘণ্টার সফর করতে হবে তাঁদের। ট্রেনে থাকা এক শ্রমিক ধীরেন রাজ বলেন, “গতকাল রাত ১১টা নাগাদ এখানে ট্রেনটি পৌঁছায়, এবং এখনও এখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। দুদিন ধরে আমরা কোনও খাবার পাইনি। এই সফরের জন্য আমাদের ১,৫০০ টাকা করে দিতে হয়েছে”।

আরেকটি ট্রেন যাচ্ছিল মহারাষ্ট্রের পানভেল থেকে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর, বারণসীর কাছে সেই ট্রেনটি ১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল। গতকাল রাতের ছবিতে দেখা গিয়েছে, রেললাইনে নেমে পড়েছে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা, অন্য ট্রেন এলেও উঠতে রাজি হননি তাঁরা। রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে সরে যান তাঁরা এবং প্রত্যেককে খাবার দেওয়া হয় ও ট্রেন ছাড়ে।

8ubqdntউত্তরপ্রদেশের কানপুর জংশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়া হলে, তা পচা বলে অভিযোগ করে ছুঁড়ে ফেলে দেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী শ্রমিকরা.

ট্রেনের এক যাত্রী গোবিন্দ কুমার রাজভার বলেন, “আমরা মহারাষ্ট্রে খাবার পেয়েছি. তবে উত্তরপ্রদেশে কিছুই পায়নি। ৭ ঘণ্টা ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল কাশীতে (বারাণসী), পরে যাত্রা শুরু করে এবং আবার ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পড়ে। আবারও চলতে শুরু করে এবং কিছুক্ষণ পর দাঁড়িয়ে পড়ে”।

শুক্রবার সন্ধ্যায়, উত্তরপ্রদেশের কানপুর জংশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়া হলে, তা পচা বলে অভিযোগ করে ছুঁড়ে ফেলে দেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী শ্রমিকরা। কানপুরের ছবিতে দেখা গিয়েছে, রেলপুলিশের দিকে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাঁদের সঙ্গে আমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।

কানপুরে সাংবাদিকদের এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, “শৌচাগারে পর্যন্ত জল নেই। আমাদের খাবার জন্য লুচি দেওয়া হয়েছিল সেগুলি শক্ত, সেগুলি চার থেকে পাঁচদিন আগের তৈরি করা, সেই জন্যই আমরা সব খাবার বাইরে ফেলে দিয়েছি”।

লকডাউনের সময় বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১৮.২৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক উত্তরপ্রদেশ ফিরেছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত সচিব অবনীশ অবস্থি বলেন, “লকডাউনের সময়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১৮.২৪ লক্ষ শ্রমিক উত্তরপ্রদেশ ফিরেছেন।১২.৩৩ লক্ষ শ্রমিককে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফেরানো হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ১,১৯৯ টি ট্রেন অনুমোদন করেছে সরকার”।

সরকারি তথ্যে জানা গিয়েছে, ১ মে থেকে এখনও পর্যন্ত ২,৩১৭টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ৩১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ফেরানো হয়েছে, প্রাথমিক হিসেবে থাকা ২৪ লক্ষের মধ্যে প্রায় ৭ লক্ষকে ফেরানো হয়েছে।

.