Read in English தமிழில் படிக்க
This Article is From Apr 15, 2020

লকডাউনে অসহায়, শশ্মানে পড়ে থাকা কলা কুড়াচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিক

কলাগুলি ফেলা হয়েছিল নিগমবোধ ঘাট সংলগ্ন এলাকায়, কলাগুলি সম্ভবত শেষকৃত্যের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

দিল্লিতে যমুনা নদীর (River Yamuna) পাড়ে বুধবার বিকেলে পড়ে থাকা করা কুড়াতে দেখা গেল একদল ব্যক্তিকে। ফেলে দেওয়া কলাগুলি মধ্যে থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল কলাগুলি কুড়িয়ে নিতে দেখা গেল তাঁদের। আর এরমধ্যেই দিয়েই ফুটে উঠল করোনা ভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown). ফলে সমস্যা জর্জরিত এক শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের করুণ চিত্র। কলাগুলি ফেলা হয়েছিল নিগমবোধ ঘাট সংলগ্ন এলাকায়, কলাগুলি সম্ভবত শেষকৃত্যের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্যাগে পড়ে থাকা কলাগুলি কুড়িয়ে নেওয়ার সময় একজন বললেন, “এগুলো কলা...এগুলো সহজে খারাপ হয় না। আমরা যদি ভালভাবে রাখি, তাহলে কিছুদিন থাকবে”।

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এক পরিযায়ী শ্রমিকের কথায়, “আমরা নিয়মিত খাবার পাচ্ছি না, ফলে এগুলো নেওয়া ভাল”।

এটা একটা কোনও সাধারণ দৃশ্য নয়,  যেটা প্রায়ই দেখা যায়, প্রকাশ্য রাস্তা. ঘুমাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।

Advertisement

করোনা নিয়ে কেন্দ্রের লাল তালিকায় ৬টি মেট্রো শহর, এবং অন্যান্য শহর

করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশে হঠাৎ করেই লকডাউন জারি করা গেছে,. ফলে যমুনার পাড়ে থাকা হাজারখানেক পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যায় পড়েছেন।

Advertisement

দেশের অন্যান্য জায়গার মানুষদের মতোই, রাতারাতিই তাঁরা কর্মহারা হন, ফলে আশ্রয় এবং খাবার থেকেও বঞ্ছিত হন তাঁরা। অন্যদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়ি ফেরার রাস্তাও বন্ধ।

নিজেদের রাজ্যে ফিরতে হাঁটতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ, সেই সময়, যখন করোনা ভাইরাসের ছডিয়ে পড়া রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের আটকানো হয় এবং আশ্রয় দেওয়া হয়।

Advertisement

এই  রকমই একটি আশ্রয়স্থলে রয়েছেন ৫৫ বছরের জগদীশ কুমার, তিনি রায়বেরিলির বাসিন্দা। পুলিশের থেকে আত্মগোপন করতে রাস্তায় শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, “দুদিন পর গুরুদুয়ারে আমরা খাবার পেয়েছি”।

মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জমায়েত করার জন্যে শ্রমিকদের উস্কে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ১

Advertisement

বহু পরিযায়ী শ্রমিক ঘর ছাড়া হওয়ার খবরের পর, দিল্লি সরকারের তরফে তাঁদের বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়।

দিল্লির আরবান শেল্টার বোর্ডের তরফে বিপিন রাই বলেন, “আমরা স্কুলে আশ্রয় দেওয়ার কথা তাঁদের বলছি”।

Advertisement

মঙ্গলবারের পর কিছু ছাড়ের আশা করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, সেদিনই ২১ দিনের লকডাউন শেষ হয়।  তারপরেই ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ফলে আশাহত হন তাঁরা।

Advertisement