Coronavirus: ২৫মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস লকডাউনের ফলে বন্ধ থাকা শপিং মল, রেস্তোঁরা, ধর্মীয়স্থানগুলি বৃহস্পতিবারই খোলার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেইগুলির জন্য জারি করা হল নয়া গাইডলাইন, যা কার্যকর হবে ৮ জুন থেকে। তারমধ্যে রয়েছে ধর্মীয়স্থানে প্রতিমা না ছোঁয়ার মতো পদক্ষেপ।
সাধারণভাবে লাগু করা নিয়মগুলি রইল এখানে:
- যতটা সম্ভব ৬ ফুট দূরত্ব মেনে চলতে হবে
- মাস্ক বা মুখ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
- সাবান দিয়ে অন্তত ৪০ থেকে ৬০ সেকেন্ড বা অ্যালকোহল স্যানিটাইজার দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধোওয়া আবশ্যিক
- মুখ ও নাক ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক কাশি, হাঁচি, রুমাল, টিস্যু পেপার বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা যেতে পারে
- নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে এবং অসুস্থ হলে দ্রুত রাজ্য বা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানাতে হবে
- কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থুতু ফেলা
শপিং মলের জন্য নিয়মাবলী
- বাইরে থেকে আগতদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক
- যাঁদের লক্ষণ নেই,শুধুমাত্র তাঁদেরই ঢুকতে দেওয়া হবে
- মাস্ক বা মুখ ঢেকে রাখলে তবেই কর্মী বা ক্রেতাদের ঢুকতে দেওয়া হবে
- শপিং মলের বিতর সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে
- পোস্টার, কোনও স্ট্যান্ড বা করোনা নিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে হবে যথাযথভাবে
- সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে প্রয়োজনীয় কর্মী মোতায়েন করতে হবে
- যে সমস্ত কর্মী ঝুঁকিপূর্ণ যেমন বয়স্ক কর্মী,অন্তঃসত্ত্বামহিলা., এবং শারিরীক অসুস্থ কর্মীদের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগ হবে এমন কোনও কাজে তাঁদের নিয়োগ করা যাবে না।
- যথাযথভাবে ভিড়় ম্যানেজমেন্ট করতে হবে বিশেষ করে পার্কিং এর জায়গাগুলিতে।
- পার্কিং-এর জায়গাগুলিতে কর্মীদের মাস্ক পড়তে হবে। স্টিয়ারিং, দরজার হ্যান্ডেল, চাবি গুলিকে যথাযথভাবে জীবানুমুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে।
- কোনও দোকান, স্টল, ক্যাফেটেরিয়ার বাইরে ও ভিতরে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে।
রেস্তোঁরাগুলিতে যে সমস্ত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে:
- রেস্তোঁরাগুলিতে খাবার বাইরে নিয়ে যাওয়ার জোর দিতে হবে। ক্রেতাদের বাড়ির দরজার সামনে খাবারের প্যাকেট রেখে আসবেন ডেলিভারি কর্মীরা। সরসারি ক্রেতার হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া যাবে না।
- হোম ডেলিভারির কর্মীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করিয়ে তবেই তাঁদের কাজে লাগাতে হবে
- বাইরে থেকে আসা ক্রেতাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং থার্মাল স্ক্রিনিং করাতে হবে
- শুধুমাত্র উপসর্গহীন কর্মীরাই ভিতরে যেতে পারবেন
শুধুমাত্র মাস্ক পরা থাকলে তবেই ভিতরে যেতে পারবেন কর্মীরা। রেস্তোঁরার ভিতরে সব সময়ে মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক
মন্দিরের জন্য নিয়মাবলী
- বাইরে থেকে আগতদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে
- শুধুমাত্র উপসর্গহীনরাই ঢুকতে পারবেন
- মাস্ক পরা থাকলে তবেই ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে
- করোনা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন, পোস্টার যথাযথভাবে দিতে হবে
- প্রতিদিন নিয়মমাফিক চালাতে হবে করোনার সচেতনার অডিও, ভিডিও ক্লিপ
- নিজের গাড়িতে জুতো রেখে মন্দিরে যেতে হবে। প্রতিদিন পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের আলাদা জায়গায় রাখতে হবে
- মন্দিরের বাইরের দোকান, ক্যাফেটেরিয়ায় সামাজিক দূরত্ববিধি মনে চলতে হবে
- প্রবেশ ও প্রস্থানের আলাদা জায়গা দরজা রাখা হবে।
- প্রবেশ পথে ৬ ফুট দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে
- প্রবেশের আগে হাত, পা পরিষ্কার করে ধুতে হবে
- সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে বসার জায়গা করতে হবে
- মন্দিরের প্রতিমা, পবিত্র গ্রন্থ স্পর্শ করা যাবে না
- বড় জমায়েত বন্ধই থাকবে
- একে অপরকে সম্মান জানানোর সময়েও শারিরীক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে
- এক আসনে সবাইকে বসানো যাবে না. নিজের বাড়ি থেকে ভক্তদের আলাদা বসার জায়গা আনতে হবে। পরে তা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে
- ধর্মীয় স্থানের ভিতরে প্রসাদ বিলি, পবিত্র জল ছেটানো চলবে না