Ordnance Factory Board: করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসারত কর্মীদের জন্যে এই বিশেষ ধরণের পোশাক বানানো হয়েছে
হাইলাইটস
- করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসারত কর্মী-চিকিৎসকের পাশে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি
- অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড তৈরি করল একটি বিশেষ সুরক্ষা পোশাক
- মনে করা হচ্ছে এই পোশাক পরলে কোনওভাবেই করোনা সংক্রমণ হবে না
নয়া দিল্লি: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল দেশের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিও (Ordnance Factory Board)। এমনিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্যে ইউনিফর্ম, জ্যাকেট, তাঁবু, অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রস্তুত করে থাকে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (OFB)। কিন্তু এবার করোনা আক্রান্তদের (COVID- 19) চিকিৎসারত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্যে একটি বিশেষ পোশাক তৈরি করল তারা। সংস্থার দাবি তাদের তৈরি ওই নতুন পোশাক পরে চিকিৎসা করতে গেলে কোনও অবস্থাতেই করোনা ভাইরাস শরীরের সংস্পর্শে আসতে পারবে না। তবে এই পোশাকটি "ইউজ অ্যান্ড থ্রো" গোছের, একে কেবল একবারই ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পোশাকটি একেবারে নিশ্ছিদ্র করে তৈরি করা হয়েছে। যে জায়গাগুলোয় পোশাকটি সেলাই করে জোড়া হয়েছে, সেখানে সূঁচের সামান্য ছিদ্রও যাতে খোলা না থাকে তার জন্যেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই ছিদ্রগুলো আটকাতে পিইউ টেপ দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত সব রকম প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই পোশাকটি তৈরি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ জাতীয় পোশাক বিদেশ থেকে আমদানি করা হত। এবার দেশেই এটা তৈরি করা যাবে বলে দাবি করেছে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড।
কাজে ফিরছেন মন্ত্রীরা, তবে গণপরিবহণের অভাবে দফতরে যেতে সমস্যায় সাধারণ কর্মীরা
যেভাবে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে এখন এরকম ধরণের লক্ষ লক্ষ পোশাক দরকার। শুধু এই পোশাকটিই নয়, ওএফবি এমন একটি মেশিনও তৈরি করেছে যা বডি স্যুট তৈরিতে সক্ষম ফ্যাব্রিকটি যথাযথ কিনা তাও পরীক্ষা করতে পারে। এর আগে কেবলমাত্র কোয়ম্বাটুরের সাউথ ইন্ডিয়া টেক্সটাইল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনেই এই ধরণের পরীক্ষা করা যেত এবং তা সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতো। এখন ওএফবির সাহায্যে কানপুর ও চেন্নাইয়েও এই পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষাটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ফ্যাব্রিকের মানের উপরই নির্ভর করে সুরক্ষা ব্যবস্থা। এই সুরক্ষায় জোর দেওয়া হয় যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন করোনা আক্রান্ত কারো চিকিৎসা করছেন তখন কোনওভাবেই যাতে তাঁর দ্বারা সংক্রমিত না হন।
"যথাযথ সুরক্ষা নিয়ে" উৎপাদন কাজ শুরু করার বিষয়ে সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রকের
ওএফবির এই উদ্যোগের ফলে এই ধরণের পোশাকের উৎপাদন আমাদের দেশে অতি সহজেই করা যাবে।NDTV-র তথ্য অনুসারে, এর আগে এই ধরণের বেশিরভাগ পোশাকই চিন থেকে আমদানি করতে হচ্ছিল। সেই সময় থেকেই ভাবনাচিন্তা করা শুরু হয় যাতে এই জাতীয় পোশাক দেশেও তৈরি করা যায়। যে বারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ওই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে এই মুহূর্তে দেশে অন্তত এক মিলিয়ন ওরকম বডি স্যুটের দরকার। ওএফবি এই জাতীয় হাজার হাজার বডি স্যুট তৈরি করতে পারবে বলে জানিয়েছে।