Read in English
This Article is From Jun 02, 2020

করোনা সতর্কতা বজায় রেখে খুলে দেওয়া হল রাজ্যের মন্দির-মসজিদ-গির্জা

Religious Places: তবে বেশ কয়েকটি মন্দির এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষ ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার জন্যে আরও বেশ কিছু সময় চেয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

West Bengal: রাজ্যের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমাবদ্ধ উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হয়েছে (প্রতীকী চিত্র)

Highlights

  • করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে মূল ছন্দে ফেরার চেষ্টা
  • রাজ্যের মন্দির-মসজিদ-গির্জাগুলো খুলে দেওয়া হল
  • কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেই একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না
কলকাতা:

সোমবার রাজ্যের (West Bengal) বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর (Religious Places) বাইরে দেখা গেল চেনা ছবি, উপাসনার উপকরণ নিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভক্তরা। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের আশঙ্কায় এতদিন বন্ধ ছিল পশ্চিমবঙ্গের মন্দির-মসজিদ-গির্জা সহ যাবতীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সেগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ায় গতকাল (১ জুন) থেকেই ফের শুরু হয়েছে সর্বশক্তিমানের দুয়ারে কড়া নাড়া। তবে রাজ্যের অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানই তাদের দ্বার সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করার আগে স্যানিটাইজেশনের জন্যে রাজ্য সরকারের কাছে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছে। যেমন দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারাপীঠ, বেলুড় মঠের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনা (COVID- 19) সতর্কতায় যে যে নির্দেশ মেনে চলার কথা বলেছে রাজ্য সরকার সেগুলো প্রয়োগে আরও কিছুটা প্রস্তুতির সময় প্রয়োজন তাঁদের।

রাজ্যের চা বাগানগুলোতে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে শুরু হল পুরো দমে কাজ

তবে সোমবার থেকেই যেমন খুলে গেছে কলকাতার প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। তবে কোনওভাবেই যাতে সেখানে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ভক্ত প্রবেশ করতে না পারেন সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছিল। দেখা গেছে যে, সেখানে ভক্তরা নিয়ম মেনে নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মায়ের কাছে প্রার্থনা করছেন এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই পুরোহিতরাও ভক্তদের কাছ থেকে পুজোর ডালি এবং 'প্রসাদ' আদান-প্রদান করছেন।

Advertisement

একদিনে বাংলায় সংক্রমিত ২১৭ জন! মোট সংক্রমণ ৫৭৭২, মৃত ৩২৫

তবে এখনই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি মন্দিরের কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ভক্তরা যাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার করেন সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে, এমনকী স্যানিটাইজ করা হচ্ছে পুজোর ডালাগুলোও।

Advertisement

খুলে দেওয়া হয়েছে মায়াপুরের বিখ্যাত ইস্কনের মন্দিরও। তবে সেখানেও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা হচ্ছে। তাছাড়া মায়াপুরের মন্দিরে যাঁরা আসছেন তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করে তবেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

বেহালার গুরুদ্বারা কমিটির সদস্য সতনম সিং আহলুওয়ালিয়া বলেছেন, সেখানকার গুরুদ্বারা খুলে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বহু মানুষ জড়ো হয়ে গেছিলেন। কিন্তু সেখানেও একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। "সমস্ত ভক্তদের থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা সব সময় নজর রাখছেন যাতে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে। ভক্তদের এক এক করে গুরুদ্বারার ভিতরে যেতে দেওয়া হয়েছে", জানান তিনি।

Advertisement

রাজ্যের মসজিদ ও গির্জাগুলোতেও একই ছবি দেখা গেছে। মাস্ক পরে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই ভক্তরা সেখানে সমবেত হয়েছিলেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement