This Article is From May 04, 2020

রয়েছে সরকারের ছাড়, তবুও রাজ্যের গ্রিন জোনে নামল না বাস

রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বাস চালানো নিয়ে আমাদের অক্ষমতার কথা আমরা পরিবহন দফতরের পদস্থ কর্তাদের জানিয়েছি”

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

সোমবার থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে সবুজ এলাকাগুলিতে বাস চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার (প্রতীকি ছবি)

কলকাতা:

রাজ্যের (West Bengal) সবুজ বা গ্রিন জোনগুলিতে (Green Zones) সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস পরিষেবা চালু করার ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার, তবুও, সোমবার রাস্তায় নামল না কোনও বেসরকারি বাস। বাস সংগঠনের দাবি, এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বাস নামালে আর্থিক ক্ষতি তো রয়েছেই, তারসঙ্গে আরও নানান ঝক্কি পোহাতে হতে পারে। রাজ্যের বাস মিনিবাস কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা কোনও টেকসই চিন্তাধারা নয়, কারণ, ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস পরিষেবা চালু করলে জ্বালানির খরচও উঠবে না। তাঁর কথায়, “সোমবার রাজ্যের কোনও সবুজ এলাকাতেই বাস নামেনি। আমরা রাজ্য সরকারকে বাসের অনুরোধ জানানোর আবেদন করছি, যেমনটা ভোটের সময় ভোটকর্মীদের নিয়ে যাওয়া আসার জন্য করা হয়। তাহলে রাজ্য সরকার বাস চালাতে পারে এবং মালিকদের দৈনিক ভাড়া দিতে পারে”।

 রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বাস চালানো নিয়ে আমাদের অক্ষমতার কথা আমরা পরিবহন দফতরের পদস্থ কর্তাদের জানিয়েছি”।

পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ট্রেন ভাড়া নেওয়ার কথাই হয়নি: কেন্দ্র

Advertisement

লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে কলকাতার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বা জরুরি পরিষেবার কারণে বাস পরিষেবার হাল কঙ্কালসার চেহারা তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ রাজ্যে মোট ৮টি গ্রিন জোন বা সবুজ এলাকা রয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, এবং ঝাড়গ্রাম।   

রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, মাঝে দাঁড়ানোর জায়গা সহ এই সমস্ত এলাকাগুলির বাসগুলিতে ৪৫ থেকে ৫৫টি করে আসন থাকে, সেখানে ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অর্থ, দৈনিক আয়ের এক তৃতীয়াংশ আয় হবে বাস অপারেটরদের। এছাড়াও তাঁর মতে, লকডাউনের ফলে অফিসগুলি বন্ধ এবং ট্রেন না চলার কারণে, ২০জন যাত্রীও হবে না জেলার বাসগুলিতে।

Advertisement

মদের দোকানে দীর্ঘ লাইন, সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে কলা দেখিয়ে চলল ঠেলাঠেলিও

জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে যাত্রী পাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ সরকার আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল চালু করেছে। তাঁর দাবি, বাস সফরকালে করোনা সংক্রমিত লোকজনদের সংস্পর্শে আসতে পারেন বলেও আতঙ্ক রয়েছে বাস কর্মীদের একাংশের মধ্যে।

Advertisement

তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারের উচিত আর্থিক দিকটিরও চিন্তাভাবনা করা, কারণ যাত্রীসংখ্যার মাধ্যমে জ্বালানি খরচ, একা থাকা কর্মীর বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তোলা সম্ভব নয়”। পাশপাশি তিনি আরও বলেন, রাজ্যের ৮৫ শতাংশ যাত্রীই বাসে সফর করেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement