This Article is From May 28, 2020

পরিযায়ী সংকটে কিছু লোকের নেতিবাচক মানসিকতাকেও দায়ী করল কেন্দ্র

Coronavirus: "আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছেন যারা শুধু নেতিবাচক ভাবনাচিন্তা ছড়িয়ে দেন, এঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে", শীর্ষ আদালতে বললেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা

পরিযায়ী সংকটে কিছু লোকের নেতিবাচক মানসিকতাকেও দায়ী করল কেন্দ্র

Coronavirus: লকডাউনের ফলে দেশের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক চরম সংকটে পড়ে

হাইলাইটস

  • পরিযায়ী সংকট কাটাতে সবরকমের চেষ্ট করছে কেন্দ্রীয় সরকার
  • সুপ্রিম কোর্টে দাবি করলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা
  • কিছু লোক শুধু সমালোচনার জন্যেই বসে থাকেন, অভিযোগ তাঁর
নয়া দিল্লি:

কিছু মানুষ আছেন যাঁরা যতই যা করা হোক না কেন, সবসময়ই নেতিবাচক মানসিকতা  নিয়ে থাকেন এবং অন্যদের মধ্যেও সেই মানসিকতা ছড়িয়ে দেন। সমাজসংস্কারের নামে এইসব মানুষজন আরও ক্ষতি করছেন, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পরিযায়ী সংকট (Migrant Crisis) নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন সরকার পক্ষের প্রতিনিধি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। "আমাদের দেশে কিছু মানুষ সমাজ সংস্কারকের ভাব দেখিয়ে আসলে কেবল নেতিবাচক মানসিকতা ছড়িয়ে দেয়। এই সমস্ত লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, সাক্ষাৎকারও দেন, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কী করা হচ্ছে তা কিছুতেই স্বীকার করেন না। এমন করে আসলে তাঁরা জাতির প্রতি মোটেই সৌজন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন না। তাদের সত্যিকে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো সামান্য দেশপ্রেম টুকুও নেই", বলেন সলিসিটার জেনারেল (Tushar Mehta)।

3g90u3k8ট্রেন শুরু হওয়ার আগে লক়ডাউনের কারণে আটকে পড়া শ্রমিকরা হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন

তুষার মেহতা এও বলেন, "সরকার প্রচুর পরিমাণে পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং সুপ্রিম কোর্ট এর আগে এবিষয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্টও ছিল" । তিনি অভিযোগের সুরে বলেন যে অথচ এই মানুষগুলো এই সত্যকে কিছুতেই স্বীকার করতে চান না যে সরকার এবং মন্ত্রীরা "রাতভোর কাজ করছেন"।

এই প্রসঙ্গে তিনি ১৯৮৩ সালে তোলা সুদানের শকুন এবং অনাহারী সন্তানের ছবি তুলে পুলিৎজার বিজয়ী ফটোগ্রাফারের উদাহরণ দেন। "সেখানে একটি শকুন এবং একটি মৃতপ্রায় শিশু ছিল। শকুনটি শিশুটির মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করছিল। তিনি এটি ছবি তোলেন এবং ছবিটি এনওয়াইটিতে প্রকাশিত হয় এবং সেই ফটোগ্রাফারকে পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। চার মাস পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। তিনি কোনও সংস্থার কর্মী ছিলেন না। তিনি কোনও এনজিও চালাচ্ছিলেন না। তিনি আসলে এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি বিবেকের তাড়নায় আত্মহত্যা করেন", বলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা।

১ মে থেকে ৯১ লক্ষ পরিযায়ীকে ঘরে ফেরানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টকে বলল কেন্দ্র

"একজন সাংবাদিক যখন ওই ফটোগ্রাফারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ওই শিশুটির কী হয়েছিল? তিনি বলেছিলেন আমি জানি না, আমাকে দেশে ফিরতে হবে। তারপরে সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, সেখানে কটা শকুন ছিল? ফটোগ্রাফার জানান একটিই শকুন ছিল। সেইসময় ওই সাংবাদিক তাঁর ভুল শুধরে দিয়ে বলেছিলেন, না ওখানে দুটো শকুন ছিল। আর একটি শকুন ক্যামেরা ধরে ছিল।"

এই উদাহরণের মাধ্যমে আসলে তুষার মেহতা বিরোধী দলগুলোর  নেতাকর্মী সহ অন্য সব সমালোচকদেরই প্রকারান্তরে আক্রমণ করেন। তিনি একথাও বলেন যে যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সংকট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করছেন,  তাঁদের মধ্যে কেউই কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস এবং নিজেদের ড্রয়িংরুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি পরিযায়ীদের সহায়তার জন্য ।

রাত পেরিয়ে ভোর! শহর ঘুরে অমিল চিকিৎসা, বাবার কোলেই মৃত্যু নবজাতকের

পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে মঙ্গলবারই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারগুলো পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা ঘোঁচাতে কী ব্যবস্থা করেছে সেবিষয়ে জবাব তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই বিষয়ে হলফনামা দায়ের করে কেন্দ্র জানায়, ১ মে বিশেষ ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৯১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে নিজেদের রাজ্যে ফেরানো হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে রেলের পক্ষ থেকে অন্তত ৮৪ লক্ষ যাত্রীকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আরও বলেন, "একজন মাত্র পরিযায়ী শ্রমিকও অন্য রাজ্যে আটকে থাকা পর্যন্ত তাঁদের ঘরে ফেরাতে ট্রেন চালাবে, কিছুতেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হবে না"।

.