This Article is From May 16, 2020

"খিদের জ্বালায় মরছি," রাহুল গান্ধিকে সামনে পেয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ

মহেশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রায় ৪ দিন ধরে হাঁটছেন তাঁরা। তাদের দলে ১৩ জনের দলে একজন শিশুও আছে

দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে শনিবার কথা বলেন রাহুল গান্ধি।

নয়া দিল্লি:

দিল্লি ঘুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। নয়া দিল্লির (New Delhi) সুখদেব বিহার ফ্লাইওভার এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় ঢুঁ মারেন তিনি। মনোযোগ দিয়ে শোনেন সেই এলাকায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগ ও দুর্দশার কথা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, সাদা ফতুয়ার সঙ্গে কালো সুতির প্যান্ট এবং মুখে মাস্ক পরে পরিযায়ী শ্রমিকদের মাঝে বসে ওই কংগ্রেস সাংসদ। মহেশ কুমার নামে এক শ্রমিক বলেছেন, "রাহুল গান্ধিজি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কী অসুবিধা আমাদের জানতে চেয়েছেন। ওকে বললাম, আমরা খিদের জ্বালায় মরছি। কোথাও কাজ নেই। প্রায় দু'মাস আমাদের এভাবেই চলছে।" সেই শ্রমিকের অনুযোগ, "আমারা তিন-চার দিন কাজ করে কত আয় করি? আমাদের কাছে যা টাকা ছিল, খাবার কিনতে শেষ হয়ে গিয়েছে।" তবে রাহুল গান্ধি এসে ওদের অভিযোগ শুনেছেন, সে কারণে কংগ্রেস সাংসদকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা। 

বাড়লো প্রতিরক্ষা খাতে এফডিআই মাত্রা, ৪৯% থেকে হলো ৭৯%, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

জানা গিয়েছে, সুখদেব বিহার এলাকায় ঘাঁটি গাড়া শ্রমিকরা অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি কিংবা মধ্যপ্রদেশের নাগরিক। হরিয়ানার আম্বালা থেকে ইতিমধ্যে তাঁরা প্রায় ১৩০ কিমি হেঁটে ফেলেছেন। মহেশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রায় ৪ দিন ধরে হাঁটছেন তাঁরা। তাদের দলে ১৩ জনের দলে একজন শিশুও আছে। 

qavvbje4

পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি।

এদিকে, রাহুল গান্ধি আজ করোনাভাইরাস-ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতির জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজটি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং যদি সরকার এর পরিবর্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না দেন তবে আসন্ন “বিপর্যয়কর সমস্যা” সম্পর্কে সতর্কও করে দিয়েছেন। জুম ভিডিও কলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উদ্দেশে রাহুল গান্ধি কৃষক এবং অভিবাসীদের জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে ত্রাণ সরবরাহ করতেই না পারা “ঋণের প্যাকেজ” সম্পর্কেও ‘গুরুতর প্রতিক্রিয়া' ব্যক্ত করেন।

"আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ লঘু করা হবে! কমবে জ্বালানি খরচ ও যাত্রার সময়", অর্থমন্ত্রীর দাবি

রাহুল গান্ধি বলেন, “আমাদের জনগণের অর্থের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্যাকেজটি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। মোদিজির সরাসরি নগদ স্থানান্তর, এমএনআরইজিএ-র অধীনে ২০০ দিনের কর্মদিবস, কৃষকদের জন্য অর্থ সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত, কারণ তারা ভারতের ভবিষ্যত।”

sqs7i5ak

আগ্রায় ছেলেকে ট্রলির ওপর ঘুম পাড়িয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে হাঁটছেন এক মহিলা। 

কেরলের লোকসভার সাংসদ গত বছর সাধারণ নির্বাচনের প্রচারের সময় কংগ্রেস প্রস্তাবিত ন্যায় স্কিমটি তুলে ধরেন- যাতে সমাজের দরিদ্রতম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৭২ হাজার টাকা আয়ের সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাহুল গান্ধি কেন্দ্র সরকারকেও অনুরূপ পরিকল্পনা নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। “রাস্তায় হাঁটতে থাকা অভিবাসী শ্রমিকের অর্থ দরকার, ঋণের দরকার নেই। যে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তার অর্থ দরকার, ঋণ নয়। আমরা যদি তা না করি তবে এটি একটি বিপর্যয়কর সমস্যা হয়ে উঠবে,” বলেন রাহুল।

রাহুল গান্ধি এই সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একই অনুরোধ করেছিলেন। রাহুল, লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ে থাকা অভিবাসীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে “কমপক্ষে ৭,৫০০ টাকা” পাঠানোর অনুরোধ করেন। এই মাসের শুরুর দিকেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাহুল গান্ধির সঙ্গে আলোচনায় এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।

.