This Article is From May 14, 2020

৩০ জুন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ট্রেন চলাচল স্থগিত, জানাল রেলমন্ত্রক

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া দিল্লি থেকে ১৫টি বড় শহরের বিশেষ “প্যাসেঞ্জার ট্রেন” এবং “শ্রমিক ট্রেন” চলাচল করবে

৩০ জুন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ট্রেন চলাচল স্থগিত, জানাল রেলমন্ত্রক
নয়াদিল্লি:

নিয়মিত যাত্রী পরিষেবার জন্য সমস্ত টিকিট বাতিল করল ভারতীয় রেল (Indian Railways), ৩০ জুন পর্যন্ত বুক হওয়া সমস্ত মেল, এক্সপ্রেস, শহরতলির ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। সমস্ত যাত্রীদের টিকিট বুকিং এর পুরো খরচই ফেরৎ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে রেলের তরফে, বৃহস্পতিবার সকালে একটি বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। যদিও, রেলের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া দিল্লি থেকে ১৫টি বড় শহরের বিশেষ “প্যাসেঞ্জার ট্রেন” এবং “শ্রমিক ট্রেন” চলাচল করবে। পিটিআই জানিয়েছে, গতমাসে, লকডাউন শুরুর আগে বুক করা ৯৪ লক্ষ টিকিট বিক্রি করে ১,৪৯০ কোটি টাকা ফেরৎ দেয় রেল।

এছাড়াও লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে, ২২ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে সফরের পরিকল্পনা করে বুক করা টিকিটের ৮৩০ কোটি টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়।

করোনা ভাইরাসের থেকে "হয়তো আর কখনোই সম্পূর্ণ মুক্তি" মিলবে না: হু

অত্যাবশকীয় নয় এমন ট্রেন, প্যাসেঞ্জার ট্রেন ২২ মার্চ থেকে বাতিল করা হয়েছে, তারদিন পর দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়।

যাইহোক, রবিবার ধাপে ধাপে প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা চালুর ঘোষণা করেল রেল, তার পাঁচদিন পর. তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন শেষ হয়।

এই বিশেষ ট্রেন, মঙ্গলবার প্রথম ধাপে যাত্রা শুরু করে, সেগুলি দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করে যাবে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট, জম্মু, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, এবং ত্রিপুরা।

সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ৬৪২টি শ্রমিক ট্রেন চালিয়েছে। এই ট্রেনগুলিতে ৭.৯ লক্ষ পরিযায়ী এবং করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে আটকে পড়াদের বাড়ি ফিরিয়ে দেবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩৪, আক্রান্ত ৩,৭২২ জন: ১০টি তথ্য

প্রথমবার লকডাউন কার্যকর করতেই, দেশজুড়ে লক্ষাধিক মানুষ আটকে পড়েন। তাঁদের অনেকেই কর্মহারা, অর্থহীন, খাদ্য, বাসস্থানহীন হয়ে পড়েন, অন্যদিকে, গণপরিবহন ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা দিতে বাধ্য হন তাঁরা।

ব্যাপক রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে, শেষপর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ট্রেন ব্যবস্থা করে সরকার।

পিটিআই জানিয়েছে, লকডাউনের আগে, প্রতিদিন ১২,০০০ ট্রেন চালাত রেল, ২৮,০৩২.৮০ কোটি টাকার পণ্য এবং ১২,৮৪৪.৩৭ কোটি টাকা যাত্রী পরিষেবা থেকে আয় করেছে শুধুমাত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে।

.