This Article is From Mar 25, 2020

চলছে ২১ দিনের লকডাউন, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরলো: ১০টি তথ্য

Coronavirus lockdown: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারতকে রক্ষা করতে, প্রত্যেক নাগরিককে রক্ষা করতে, আপনি ও পরিবারকে রক্ষা করতে...প্রত্যেক রাস্তা, প্রত্যেক এলাকা লকডাউন থাকবে”

চলছে ২১ দিনের লকডাউন, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরলো: ১০টি তথ্য

India Lockdown: নায্যমূল্যের দোকানগুলি খোলা থাকবে বলে নিয়মাবলী জারি করেছে কেন্দ্র

হাইলাইটস

  • ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশে লকডাউন, চলবে না ট্রেন সমেত কোনও যানবাহন
  • তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র
  • লকডাউনের সময় বাড়ানোর ঘোষণার সঙ্গ সঙ্গেই দোকানে দোকানে ঠেলাঠেলি
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় বুধবার শুরু হয়েছে তিন সপ্তাহের দেশজুড়ে লকডাউন, ফলে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রি নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৬, সঙ্গে মৃতের সংখ্যা ১০, এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আগামি ২১ দিন বাড়ির বাইরে পা রাখা ভুলে যান”। কঠোর পদক্ষেপ না করলে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখানে দেখে নিন এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ১০ তথ্য:

  1. সরবরাহ নিয়ে হুড়োহুড়ির মধ্যেই, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, কোনও আতঙ্কের কারণ নেই, এবং লকডাউন চলাকালীন যাতে অত্যাবশকীয় পণ্য সামগ্রির ঠিকঠাক জোগান পাওয়া যায়, তারজন্য সব্জি, মুদির ব্যবসায়ীদের ই-পাস দেওয়া হবে।
     

  2. মাদার ডেয়ারির ফল ও সব্জি বিক্রির সংস্থা ঘোষণা করেছে, তাদের সমস্ত আউটলেট খোলা থাকবে। তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সফল জানিয়েছে, “আমাদের স্টোরগুলি খোলা থাকবে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত”।
     

  3. প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ঠিক পরেই,. নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রি মজুতের কাজে নেমে পড়তে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। দিল্লির বাসিন্দাদের পাশাপাশি মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মানুষদের মুদির দোকানে ভিড় করতে দেখা যায়। অনেকে চড়া দামের অভিযোগ তোলেন।
     

  4. পুলিশের ভয়ে, এবং কোন পরিষেবা খোলা থাকবে তা নিয়ে ধন্দের মধ্যে অনেক দোকানই বন্ধ ছিল। রাজ্যগুলি সীমানা বন্ধ করায়, দুধ, ফল, সব্জির ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে  জাতীয় সড়কে।
     

  5. খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রির ঘাটতি রয়েছে, এই ধরণের বা কোনওরকম গুজব যাতে না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে পদক্ষেপ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
     

  6. খাদ্য, মুদি, ফল, সব্জি, দুগ্ধ, মাছ, মাংস এবং পশুখাদ্যের দোকানগুলি যাতে খোলা থাকে,. তারজন্য নিয়মাবলী তৈরি করেছে সরকার।
     

  7. ফিল্পকার্ট জানিয়েছে, তাদের বন্ধ করা পরিষেবাগুলি চালু করা হবে এবং সরকারের সঙ্গে কথা চলছে বলে জানিয়েছে আমাজন ইন্ডিয়া প্যান্ট্রি সার্ভিস। অনলাইনে খুচরো সরবরাহকারীদের অভিযোগ, পুলিশি হেনস্থার কারণে লকডাউনে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
     

  8. উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, অত্যাবশকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ এবং সেখান থেকেই পণ্য ঘরে মিলবে। যদিও অনেকের অভিযোগ, ফোন রুঢ়ভাবে জবাব দেওয়া হয়েছে।
     

  9. গুজরাট ও তামিলনাড়ুতে নিজেদের সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টায় ব্যবসায়ীরা, দোকানে লাইনে গণ্ডি কেটে সেখানে দাঁড়িয়ে সামগ্রি নিতে বলা হয়েছে।
     

  10. সংক্রমণ ছডিয়ে পড়া ঠেকাতে জারি করা হয়েছে লকডাউন, ফলে ২.৯ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি থমকে গিয়েছে, যার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে গরীব মানুষদের ক্ষেত্রে, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রধান মধুরা স্বামীনথন বলেন, “এই সময় প্রয়োজন অর্থনৈতিক প্যাকেজ”। তাঁর কথায়, “মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে বলা জরুরি, তবে যে সমস্ত মানুষদের ঘরে থাকলে বা কাজ না করলে চলবে না, তাঁদের পক্ষে এটা কঠিন”।



Post a comment
.