মঙ্গলবার সকালেই বেঙ্গালুরু থেকে ১,২০০ জন যাত্রী নিয়ে এরাজ্যে এলো বিশেষ ট্রেন (Special Train)। ওই ট্রেনের যাত্রীরা প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বাসিন্দা। লকডাউনের কারণে ভিনরাজ্যে আটকে ছিলেন তাঁরা। বাঁকুড়ায় ওই ট্রেনটি এসে পৌঁছনোর পরেই সেখান থেকে শুধু পরিযায়ী শ্রমিকরাই নামেন তা নয়, নামেন বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার প্রয়োজনে গিয়ে সেখানেই আটকে পড়া বহু রোগী ও তাঁর পরিজন। ভিনরাজ্যে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরাও ফেরেন ওই ট্রেনে।করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। কিন্তু কোনও আগাম সংকেত ছাড়াই ২৫ মার্চ থেকে আচমকা লকডাউন করে দেওয়ায় বহু জায়গায় আটকে পড়েন অসংখ্য মানুষ। ঘর থেকে বাইরে ভিনরাজ্যে একরকম আশ্রয়হীন অবস্থায় কাটাতে হয়েছে তাঁদের। এবার ঘরে ফেরার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। কেন্দ্রকে এবিষয়ে রাজ্য সরকারগুলোর তরফ থেকে বারংবার অনুরোধ করায় ১ মে থেকে চালু করা হয় বিশেষ ট্রেন "শ্রমিক স্পেশাল"। সেই ট্রেনে (Shramik Special) করেই এবার ঘরে ফিরলেন বাংলার মানুষজনও।
জানা গেছে, ২২ কোচের ওই "শ্রমিক স্পেশাল" ট্রেনটি গত ১০ মে কর্নাটকের রাজধানী থেকে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা হয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে ওই ট্রেনে যাত্রী হিসাবে উঠতে পারেন কেবলমাত্র ১,২০০ জনই। বেঙ্গালুরু থেকে রওনা হওয়ার দু'দিন পরে ট্রেনটি এরাজ্যের বাঁকুড়ায় এসে পৌঁছয়।
বাগ মানছে না করোনা, তাই ১৭ মে এর পরেও বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ: সূত্র
বিশেষ ট্রেনে করে রাজ্যে ফিরতে পারলেও ওই ট্রেনের যাত্রীদের একেক জনের বাড়ি একেক জায়গায়। তাই তাঁদের সুরক্ষিত ভাবে বাড়িতে পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ বাস পরিষেবারও। তবে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু থেকে রাজ্যে ফেরা সকলেরই প্রাথমিকভাবে স্ক্রিনিং করা হবে। তাঁদের কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও লক্ষণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে তাও। সমস্ত যাত্রীর মধ্যে যাঁদের শরীরে কোনও জ্বর এবং করোনা ভাইরাসের অন্যান্য লক্ষণগুলি নেই তাঁদেরই সরাসরি বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে। আর বাকিদের মধ্যে যাঁদের শরীরে করোনা পজিটিভ মিলবে বা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যাবে তাঁদের কোয়ারান্টাইন করে চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে খবর।
প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান মতে, ভারতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৭০,৭৫৬ জন। ওই মারণ ভাইরাস এদেশে প্রাণ কেড়েছে মোট ২,২৯৩ জন মানুষের। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারা গেছেন ৮৭ জন করোনা রোগী। পাশাপাশি নতুন করে ওই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬০৪ জন। এদিকে সরকারি সূত্র থেকে যা ইঙ্গিত মিলছে তাতে ১৭ মে তারিখের পরেও ফের একবার বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ। তবে এবার যদি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোও হয় তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নয় এমন অঞ্চলে কিছু কিছু বিধিনিষেধ আরও লাঘব করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)