West Bengal: ১ জুন থেকেই রাজ্যের চা শিল্পে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পে ফের পুরো দমে কাজ শুরু হল
- সোমবার থেকেই ১০০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতি দেখা গেল চা বাগানগুলোতে
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি মেলায় ফের পুরনো ছন্দে চা বাগান
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির (COVID- 19) মধ্যেই সবরকমের সতর্কতা অবলম্বন করে সোমবার থেকেই পূর্ণশক্তি নিয়ে কাজ শুরু করলো পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) চা বাগানগুলো (Tea Garden)। সেখানে প্রায় ১০০ শতাংশ কর্মীই উপস্থিতি ছিলেন বলে জানিয়েছেন টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক। এর আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ জুন থেকে সমস্ত কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়েছিলেন। করোনা ভাইরাসকে রুখতে জারি লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) কারণে দেশ তথা রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি ধুঁকছে। সেই অবস্থাকে চাঙ্গা করতে আগেই অবশ্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার কিছুদিন পরে কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। তবে গতকাল (সোমবার) থেকে যেন আগের ছন্দে ফিরল চা শিল্প।
একদিনে বাংলায় সংক্রমিত ২১৭ জন! মোট সংক্রমণ ৫৭৭২, মৃত ৩২৫
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি রাজ বনসাল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে চা বাগানগুলোতে প্রায় ১০০ শতাংশ কর্মীদের উপস্থিতি ছিল। সব কর্মীদের উপস্থিতি ভালো লক্ষ্মণ"। রাজ্যের বিখ্যাত মাকাইবাড়ি এস্টেটের মালিক লক্ষ্মী টি-এর প্রধান রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন যে, সোমবার থেকে তাঁর সংস্থার কর্মীরাও সকলেই কাজে লেগে পড়েছেন।
পরীক্ষামূলক ভাবে বাছাই রুটে মঙ্গলবার থেকে নামবে বেসরকারি বাস: জয়েন্ট সিন্ডিকেট
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি বনসাল মনে করেন, পূর্ণ শক্তি নিয়ে চা শিল্পের কাজ শুরু করার অত্যন্ত দরকার ছিল। রাজ্যের চা বাগানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে একেবারে ঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তিনি একথাও বলেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে চা বাগানগুলোতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে। তবে চা কর্মীদের ক্ষেত্রে এটা ভালোভাবেই মেনে কাজ করা হচ্ছে।
তবে টানা লকডাউনের কারণে যতদিন রাজ্যের চা বাগানগুলোর কাজ বন্ধ ছিল ততদিন প্রচুর ক্ষতি হয়েছে একথাও জানিয়েছেন তিনি। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতির আশঙ্কা, দীর্ঘদিন চা শিল্পে উৎপাদন বন্ধ থাকার জেরে চলতি বছরের চা উৎপাদনে বড়সড় ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
"তবে আমরা এখন একটি ভাল উৎপাদন আশা করছি এবং মনে করছি যে এটা করা সম্ভব হবে। এখন যেভাবে পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজে নামা হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে যে আগের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে", বলেন টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি রাজ বনসাল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)