TMC: করোনা লকডাউনের জেরে শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁদের কাছ থেকে টিকিটের অর্থ আদায়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- "পিএম কেয়ারস ফান্ড এখন নেই তহবিলে পরিণত হয়েছে", বললেন ডেরেক ও'ব্রায়েন
- কেন শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিটের অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন
- কেন্দ্রের দূরদর্শিতার অভাবের জন্য়েই শ্রমিকদের ভোগান্তি বলে মনে করেন তিনি
কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে জারি লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) জেরে যে দুরবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labour) তার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অদূরদর্শিতাকেই দায়ী করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা-নেত্রীরা। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল "পিএম কেয়ার ফান্ড" থেকে কেন ওই শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তাঁরা। তৃণমূলের (West Bengal) তরফ থেকে কেন্দ্রের সমালোচনা করে একথাও বলা হয় যে, ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে "অনাহারে" থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্যে যেভাবে তাঁদের কাছ থেকেই টিকিটের অর্থ আদায় করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। "পিএম কেয়ারস ফান্ড এখন নেই তহবিলে পরিণত হয়েছে। তহবিলের অর্থ কোথায় যাচ্ছে? শ্রমিকদের ফেরত আনার জন্য কেন সেখান থেকে অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে না? কেন্দ্র কি তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মাথা ঘামায় না? হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণার কারণে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের", বুধবার একটি ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এই কথা বলেন রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি একথাও বলেন যে, এই শ্রমিকদের নিরাপদে নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব।
রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১১২ জন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
২৫ মার্চ থেকে দেশে কার্যকর হওয়া লকডাউনের কারণে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের বাড়িঘর থেকে দূরে আটকা পড়েছেন। তাঁদের পোহাতে হচ্ছে অসীম ভোগান্তিও। এই শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে সহায়তা করুক কেন্দ্র, বিভিন্ন রাজ্যের তরফে এই অনুরোধের পরে, ১ মে থেকে তাঁদের ফেরানোর জন্যে ১১৫ টি বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন ওই ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে।
দেশের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে, সরকার এই শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেনের ভাড়া বাবদ অর্থ আদায় করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে, ওই শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁদের টিকিটের ভাড়া বাবদ ৮৫ শতাংশ অর্থ ভারতীয় রেল বহন করছে এবং বাকি ১৫ শতাংশ বহন করছে সেই রাজ্য সরকার যাদের অনুরোধে ট্রেন চালানো হচ্ছে।
নয়া নির্দেশিকা সহ খুব তাড়াতাড়ি চালু হতে পারে গণপরিবহণ, বললেন নীতিন গডকড়ি
এদিকে তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা এবং পরিকল্পনার অভাবের কারণেই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন এই শ্রমিকরা। "কেন্দ্রের দূরদর্শিতার অভাবের কারণেই দেশ জুড়ে শ্রমিকরা এমন সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে", বলেন তিনি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বিজেপির তীব্র সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য গোপন করছে, বিজেপির করা এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলকে রীতিমতো তুলোধোনা করেন তিনি। কাকলি বলেন যে, "বিজেপি'র ভুয়ো সংবাদ তৈরির কারখানা আসলে বাংলার জনগণকে বিভ্রান্তি করতে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, রাজ্যের বদনাম করছে"।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)