Read in English
This Article is From May 07, 2020

১০ কিমি যেতে ১০০ টাকা চাইছে ট্রাক চালক, পরিযায়ী শ্রমিকরা জানালেন তাঁদের অভিজ্ঞতা

গত ২৪ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আতান্তরে পড়তে হয় বহু পরিযায়ী শ্রমিককে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

পায়ে হেঁটেই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বাড়ি ফিরতে মরিয়া এই পরিযায়ী শ্রমিকরা।

ফিরোজাবাদ:

দিল্লি, গুরগাঁও, রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) নিজেদের বাড়িতে ফিরতে হাঁটাকেই অবলম্বন করেছিলেন শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিক (Migrants)। শেষ পর্যন্ত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে পুলিশ তাঁদের থামালে শুরু হয়ে যায় গণ্ডগোল ও সংশয়। ওই শ্রমিকদের অনেকের সঙ্গেই ছিল তাঁদের পরিবারও। যার মধ্যে রয়েছে ছোট শিশুরাও। বিরাট দূরত্ব পায়ে হেঁটেই অতিক্রম করে বাড়ি ফিরকে চান ওই পরিযায়ীরা। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়ে দেয় ওই শ্রমিকদের বাসে করে কাছের এক কলেজে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখানে তাঁদের খাবার ব্যবস্থা হবে। তারপর সেখান থেকে বাসেই বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু এমন প্রস্তাবে আপত্তি করে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার। তাঁদের দাবি, এই সব ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা নেওয়া হয়। যা বহু শ্রমিকেরই সাধ্যের বাইরে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে মাত্র ২টি ট্রেন চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার: অধীর চৌধুরী

স্ত্রী ও ২ বছরের শিশুকে নিয়ে পায়ে হেঁটে রাজস্থান থেকে বাড়ি ফিরতে চাওয়া নীতিন গোস্বামী জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা রাজস্থান থেকে আসছি। প্রায় পুরোটাই হেঁটে। আমরা একটা ট্রাক পেয়েছিলাম। কিন্তু সে টাকা চাইল‌। ১০ কিমির জন্য ১০০ টাকা করে চেয়েছিল ট্রাক টালক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ট্রাক থেকে আমাদের নামিয়ে দেয় পুলিশ। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো পেট ভরানো খাবার পাব। কিন্তু সামান্য পোলাও দেওয়া হয়েছিল।''

Advertisement

পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থার জন্যে দায়ী কেন্দ্রের অদূরদর্শিতাই, বলল তৃণমূল

রাজস্থান থেকেই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা আঞ্চলে ফিরতে চাওয়া ২০ বছরের হরি প্রসাদ জা‌নাচ্ছেন, ‘‘আগ্রার প্রায় ৫০ কিমি আগে আমরা এক পুলিশ বাহিনীর সামনে পড়ি। তারা আমাদের ট্রাকে তুলে দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে যেতেই ট্রাক চালক ২০ কিমি যেতে না যেতেই টাকা চাইতে আরম্ভ করে। আমাদের কাছে কোনও টাকাপয়সা নেই। তাই আমাদের নামিয়ে দিল। আমরা আরও ২০ কিমি হেঁটে আসার পর এখানে পুলিশ আবার আমাদের আটকেছে।''

Advertisement

গত ২৪ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে ওই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আতান্তরে পড়তে হয় বহু পরিযায়ী শ্রমিককে। যেহেতু পরিবহন একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায় তাই দীর্ঘ পথ হেঁটেই পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। আসলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে একই সঙ্গে রোজগার ও বাসস্থান দুই হারিয়ে ফেলায় যেখানে ছিলেন সেখানে থাকা আর সম্ভব হচ্ছিল না তাঁদের। তাই বিপুল সংখ্যক মানুষ পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেন। অনেকে পথেই মৃত্যুবরণ করেন।

Advertisement