This Article is From Apr 03, 2020

হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার তাবলিগি সদস্যদের, কড়া আইনে শাস্তির সুপারিশ

হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন করে রাখা তাবলিগ সদস্যদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ জনিত সাবধানতা লঙ্ঘন করে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Uttar Pradesh: কোয়ারান্টাইন থাকার সময় হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন তাবলিগ সদস্যরা

Highlights

  • উত্তরপ্রদেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্বব্যহার করলে কড়া আইনে শাস্তি
  • দোষীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হবে, জানাল যোগী সরকার
  • গাজিয়াবাদের হাসপাতালে নার্সদের সঙ্গে অশালীন আচরণ তাবলিগ সদস্যদের
নয়া দিল্লি:

ইসলামি মিশনারি গোষ্ঠা তাবলিগ-ই-জামাতের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার। দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার মসজিদে আয়োজিত ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ায় গাজিয়াবাদের একটি হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বেশ কিছু তাবলিগ সদস্যদের। তাঁদের (Tablighi Jamaat) মধ্যেই কয়েকজন বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কিছু মহিলা কর্মীদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার ও অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ওই অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা এনএসএ (National Security Act), স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গাজিয়াবাদের এমএমজি হাসপাতালে কোয়ারান্টাইন করে রাখা তাবলিগ সদস্যদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ জনিত সাবধানতা লঙ্ঘন করে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। হাসপাতালের মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন যে, ওই মুসলিমরা হাসপাতাল কর্মীদের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন, বিড়ি ও সিগারেট খেতে চেয়েছেন, গায়ের পোশাক খুলে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে উদ্দাম নৃত্য করেছেন। 

করোনা সংক্রান্ত ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ!

গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার মণীশ শর্মা বলেছেন, "সিএমওর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি যে এমএমজি হাসপাতালের নার্সরা অভিযোগ করেছেন যে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ৬ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দেখছি"।

Advertisement

গত মাসে তাবলিগ-ই-জামাতের সদর দফতর মার্কাজ নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া ১৩৬ জনকে খুঁজে বের করে গাজিয়াবাদ থানার পুলিশ। জানা গেছে, ওই সমাবেশ থেকে কম করে ৪০০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। দিল্লির নিজামুদ্দিন এখন করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে । ইতিমধ্যেই ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনার প্রকোপে। সব রাজ্যেই তাই তাবলিগ সদস্যদের খুঁজে বের করার কথা বলা হয়। গাজিয়াবাদে ১৩৬ জন তাবলিগ সদস্যের মধ্যে ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় ৩১ শে মার্চ তাঁদের এমএমজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে বলে খবর। 

লকডাউনে পুলিশের উপরে হামলায় জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার

Advertisement

হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার রবীন্দ্র সিং NDTV-কে বলেছেন, "আমাদের নার্স ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীরা এই রোগীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ করেছেন।" সবচেয়ে বড় কথা, তাঁদের বোঝানো সত্ত্বেও লাগাতার অশোভন আচরণ করে গেছেন তাঁরা। বাধ্য হয়েই তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement