Read in English
This Article is From Apr 27, 2020

কোভিড-১৯ হাসপাতালে ডাঁই করা আবর্জনার স্তূপ! রোগীর তোলা ভিডিওয় নড়ল টনক

ভিডিওয় ওই রোগীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মনে হচ্ছে আমাদের মেরে ফেলতেই এখানে রাখা হয়েছে। ৪০ জন রোগীর জন্য মাত্র দু’টি শৌচাগার। শৌচাগারগুলি খুবই নোংরা।’’

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই টনক নড়ে প্রশাসনের।

ইটাওয়া, উত্তরপ্রদেশ:

হাসপাতালের করিডর ও ওয়াশরুম জুড়ে রাশি রাশি আবর্জনার স্তূপ! ভিডিও তুললেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী। দু'মিনিটের সেই ভিডিও দেখেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)ইটাওয়া জেলার এই হাসপাতাল পরিদর্শনে এক সিনিয়র সরকারি আধিকারিক এলেন রবিবার। ওই হাসপাতালেই কোভিড-১৯ (COVID-19) রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল তুলেছে। ইটাওয়ার সাইফাই গ্রামে অবস্থিত এই উত্তরপ্রদেশ ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস নামের সরকারি হাসপাতালটি। শনিবার ভাইরাল হয় এখানকার ভিডিওটি। যে রোগী ওই ভিডিওটি তুলেছেন তাঁকে আগ্রা থেকে এখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ভিডিওটি রেকর্ড করার সময় ওই রোগীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘করোনা ভাইরাস রোগীদের আলাদা করে রাখার কথা। কিন্তু এখানে কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না। কী করে রোগীরা সুস্থ হবে?''

দেখা যায় দু'টি ঘরে পাশাপাশি রাখা বিছানায় শুয়ে আছেন রোগীরা। ভিডিওকারীর মুখ থেকে আরও শোনা যায়, ‘‘এখানে আমরা সুস্থ হব না। মনে হচ্ছে যেন আমাদের মেরে ফেলতেই এখানে রাখা হয়েছে। ৪০ জন রোগীর জন্য মাত্র দু'টি শৌচাগার। পুরুষদের একটি, মহিলাদের একটি। শৌচাগারগুলি খুবই নোংরা। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কীভাবে এখানে আবর্জনা জড়ো করে রাখা হয়েছে।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘কেউ এই নোংরা পরিষ্কার করার জন্য আসে না।''

রবিবার এক সিনিয়র সরকারি আধিকারিক হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। সেই আইএএস আধিকারিক রাজাগণপতি রাজু মেনে নিচ্ছেন হাসপাতালটি সত্যিই নোংরা। তিনি বলেন হাসপাতালের ভাইস চ্যান্সেলের তরফে তাঁকে বলা হয়েছে একদিন অন্তর ওই আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। তিনি এরপর তাঁকে নির্দেশ দেন দিনে দু'বার করে ওই আবর্জনা পরিষ্কার করার। এছাড়াও রোগীদের সময়মতো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না বলেও জানতে পেরেছেন তিনি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যেন এরপর থেকে রোগীদের খাবার সরবরাহে কোনও বিলম্ব না হয়।

Advertisement

ক'দিন আগেই এই হাসপাতালের তালাবন্ধ দরজার সামনে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল এক রোগীকে।

Advertisement