রাজ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) মেয়াদ। ৩০ জুন শেষ হচ্ছে চলতি লকডাউনের মেয়াদ। এই লকডাউনের আওতায় পড়বে রাজ্যের স্কুল, কলেজগুলি। বুধবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকের পর জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই বর্ধিত লক়ডাউনে চলবে না ট্রেন বা মেট্রো। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৪,৭২৮ জন, মৃতের সংখ্যা ৫৮০। রাজ্যে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৯,২১৮ জন। এর আগে রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন তিনি। এখন রাজ্যের শুধুমাত্র আক্রান্ত জায়গাগুলিতেই রয়েছে। করোনা আক্রান্ত নন, এমন রোগীদের আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিন।
সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যমত হয়েছে যে, হাসপাতালগুলিতে করোনা নন, এমন রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন এবং সেক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও যুক্ত করা দরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, চিকিৎসা খরচও নির্ধারিত করা দরকার। তাঁর কথায়, “মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদেরও করতে হবে”। সমস্ত রাজনৈতিক দলই এই ক্ষেত্রে সহমত হয়েছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা ব্যবসার সময় নয়। অতিমারী রয়েছে এবং পরিষেবা দিতে হবে হাসপাতালগুলিকে”।
এদিনের বৈঠকে সাইক্লোন আমফান নিয়েও আলোচনা হয়। বিরোধী দলের তরফে বামেদের দাবি, ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে কোনও স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা তাদের জয়।
মঙ্গলবারই বন্ধু ও পরিবারের লোকদের মধ্যে ত্রাণ বিলির জন্য মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, দু তলা বাড়ি ও ক্ষতি হয়নি এমন লোকরজনদের ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
বিডিও অফিসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের পরেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়.।
এছাড়াও দেগঙ্গা থেকেও মঙ্গববার একই অভিযোগে বিক্ষোভের খবর এসেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ বিরোধীদের পুরানো হাতিয়ার। সুন্দরবনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ বিলির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি সর্বদলীয় কমিটি গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।