এখন থেকে সপ্তাহে দু'দিন রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন: স্বরাষ্ট্র সচিব। (প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: রাজ্যে শুরু গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission)। এখন থেকে সপ্তাহে দু'দিন রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন, বলো ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতি-শনি লক ডাউন। পরের সপ্তাহে বুধবার লকডাউন। পরে দ্বিতীয় দিন ঘোষণা হবে, জানালেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেছেন, "রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি, চিকিৎসক মহলের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে রাজ্যের কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই প্রকোপ কমাতে সপ্তাহে দু'দিন করে লকডাউন চলবে। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার আর শনিবার লকডাউন। পরের সপ্তাহে বুধবার লকডাউন। সেই সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন পরে ঘোষণা করা হবে।" তিনি জানিয়েছেন, আগামি সপ্তাহে সোমবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। স্বরাষ্ট্র সচিবের দাবি, "কোভিড হাসপাতাল ও সেফ হোমের সংখ্যা বেড়েছে। উপসর্গহীন হলে হোম আইসোলেশন ও সেফ হোমে রাখা হবে।"
ঘরে ঘরে নমুনা পরীক্ষায় ইউকে'র অ্যান্টিবডি টেস্ট! ২০ মিনিটে জানা যাবে রেজাল্ট
হঠাৎ করেই যেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। রবিবার সারাদিনে মোট ৩৬ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই মারণ ভাইরাস। ফলে এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে কোভিড- ১৯ এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১,১১২ জনে দাঁড়িয়েছে। ৫ জুলাই থেকে রাজ্য়ে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ জন বা তার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছিল, কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় যেন আরও বিধ্বংসী রূপ দেখালো করোনা। মৃত ৩৬ জনের মধ্যে কলকাতায় ১৫ জন মারা গেছে এবং উত্তর ২৪ পরগনাতে মৃত ৯ জন। হুগলীতে ৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন করে এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে একজন করে করোনা রোগী মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।একদিনের মধ্যে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও, ২,২৭৮ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে রাজ্যে। ফলে বাংলায় করোনার কবলে পড়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে হল ৪২,৪৮৭ জন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১,৩৪৪ জন, ওদিকে রবিবার দিনভর রাজ্যের ১৩,৪৭১ জন মানুষের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হওয়ার পরিমাণও বেড়েছে এরাজ্যে। রবিবার সমস্ত নমুনা পরীক্ষার মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ৬ শতাংশের, যেখানে ১ জুলাই এই পরিমাণ ছিল ৩.৮৫ শতাংশ। সবচেয়ে চিন্তার কথা হল, পশ্চিমবঙ্গে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হারও কমে এসেছে। যেখানে ১ জুলাই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝে সুস্থ হওয়া মানুষের পরিমাণ ছিল ৬৫.৩৫ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে সেই পরিমাণ নেমে এসেছে ৫৮.৫৬ শতাংশে।