Read in English
This Article is From Apr 11, 2020

"রাজ্যে লকডাউন বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে", কড়া ভাষায় নবান্নকে চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

রাজ্যে লঙ্ঘন করা হচ্ছে লকডাউন বিধি। রাজ্যকে সতর্ক করে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

লকডাউন বিধি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্র।

Highlights

  • "রাজ্যে ভাঙা হচ্ছে লকডাউন বিধি", নবান্নকে কড়া ভাষায় চিঠি কেন্দ্রের
  • অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাইরে একাধিক দোকান খোলা কেন? তোলা হয়েছে প্রশ্ন
  • "বিধি ভাঙলেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক", মুখ্য সচিব ও ডিজিকে আবেদন কেন্দ্রের
নয়া দিল্লি :

রাজ্যে (West Bengal) লঙ্ঘন করা হচ্ছে লকডাউন বিধি (Violating lockdown)। রাজ্যকে সতর্ক করে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Minsitry of Home)। এক সপ্তাহের মধ্যে এই মর্মে দ্বিতীয়বার চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজিকে পাঠানো সেই চিঠিতে উল্লেখ, "রাজ্যে লকডাউন বিধি লঙ্ঘনের মাত্রা পরিলক্ষিত হয়েছে। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে এভাবে লকডাউন বিধি লঙ্ঘন উদ্বেগের কারণ।" সেই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয় এমন দোকান খুলে রাখতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব আবশ্যিক এমন কোনও নির্দেশিকার উল্লেখ সব্জি-বাজার, মাছ বাজার কিংবা মাংস বাজারে নেই। নেই তদারকির ব্যবস্থা।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা উদ্বেগের সুরে এনডিটিভি-কে বলেছেন, "তবলিগ-ই-জামাতের জমায়েত থেকে কতজন সংক্রমিত, তা জানতে পশ্চিমবঙ্গে সঠিকভাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।" তাঁর দাবি, "পশ্চিমবঙ্গ বলেছে সেই জমায়েত থেকে ২২০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু সঠিক তথ্য পাঠানো হচ্ছে না কেন্দ্রকে।"

লকডাউনে গান ভাণ্ডার উপুড় ওস্তাদ রশিদ খানের, সেই পথে বাংলার বাকি শিল্পীরাও

পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, "বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ লঙ্ঘন করে রাজ্য ধর্মীয় জমায়েতের অনুমতি দিচ্ছে। যদিও সেই আইনে এই ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ।" এমনকি, রাজনৈতিক নেতারা গণবণ্টন ব্যবস্থার বাইরে বেরিয়ে কেন ফ্রি-রেশন বিলি করছেন? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে। তাই লকডাউন বিধি লঙ্ঘন হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মুখ্য সচিব আর ডিজি'র কাছে এমন আবেদন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নবান্নে পাঠানো সেই চিঠি। 

এদিকে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মেয়াদবৃদ্ধির সেই ইঙ্গিতকে সমর্থন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন বিকেলে নবান্নে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "মৎস্য সংরক্ষণ, বেকারি, পানীয় জল আর তেল মিল আংশিক খুলবে।" 

এদিকে,করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তকে রুখতে পশ্চিমবঙ্গও কি এবার 'ভিলওয়াড়া মডেল' অনুসরণ করেই এগোতে চাইছে? রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে এবার তারাও রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার মতোই এখানকার কিছু সংক্রমণ প্রবণ এলাকাকে একেবারে সিল করে দিতে চলেছে। অর্থাৎ ওই অঞ্চলগুলোতে কোনও ব্যক্তি বাইরে যেতে বা আসতে পারবেন না। বরং প্রশাসনের তরফ থেকেই হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা এলাকাগুলোতে খাদ্যদ্রব্য-ওষুধ সামগ্রী থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হবে।

"ফুলের দোকান খুলতে দেওয়া উচিত হয়নি", সমালোচনায় সরব বাবুল সুপ্রিয়

Advertisement

রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা শুক্রবার বলেন, "আতঙ্ক ও সামাজিক সমস্যা যাতে তৈরি না হয় তাই আলাদা করে আমরা ওই এলাকাগুলোর নাম উল্লেখ করছি না।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমরা চেষ্টা করছি যাতে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা ওই এলাকাগুলো পুরোপুরি সিল করে দেওয়ার যাবতীয় পরিকাঠামো ও ব্যবস্থা ঠিক করে রাখার"।

 

Advertisement
Advertisement