দূরপাল্লার বাসগুলি জাতীয় লকডাউন ঘোষণার কারণে তাদের ডিপোতে ফিরে যেতে পারেনি
কলকাতা: রাজ্য সরকারকে খাবার ও চিকিত্সা সহায়তার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছেন লকডাউনে বাড়ি ফিরতে না পারা পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন শ্রমিকরা। মাথার উপর ছাদ না থাকায় তাদের মধ্যে অনেকেই ফাঁকা বাসের মধ্যেই এখন মাথা গুঁজেছেন। ‘অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির' সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্শ্ববর্তী বিহার এবং ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা যে চালক এবং খালাসিরা, তারা কয়েকটি বাসকেই তাদের অস্থায়ী ঘর বানিয়ে নিয়েছেন এবং স্থানীয় এনজিও বা নাগরিকদের বিতরণ করা খাবারেই পেট ভরাচ্ছেন।”
২০ বা ২১ শে মার্চ গন্তব্যে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসগুলি দেশব্যাপী ‘জনতা কার্ফু' পালন করার একদিন পরে অর্থাৎ ২৩ মার্চ জাতীয় লকডাউন ঘোষণার কারণে তাদের ডিপোতে ফিরে যেতে পারেনি।
রাহুল চট্টোপাধ্যায় পিটিআইকে বলেন, “রাজ্য জুড়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার পরিবহন শ্রমিক অসুবিধায় দিন কাটাচ্ছেন। তাদের রেশন এবং তাত্ক্ষণিক চিকিত্সা সহায়তার প্রয়োজন। আমরা সরকারকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মোবাইল মেডিকেল ইউনিট পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছি।”
কিছু বাসের মালিকরা এই শ্রমিকদের অর্থ এবং অন্যান্য সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তবে লকডাউন আরও দু'সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ায় এই ব্যবস্থা তাদের পক্ষে সত্যিই অপ্রতুল।
“তাদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িতে যেতে পেরেছেন, তবে যারা দূরের জায়গায় থাকেন এবং অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দা তারা এখানেই রয়েছেন। বাসগুলি স্ট্যান্ড বা আশেপাশের মাঠে রাখা হয়েছে এবং যে ড্রাইভার, সাফাইকর্মী এবং কন্ডাক্টররা বাড়ি যেতে পারেননি তারা বাসের ভিতরেই গিয়ে থাকছেন,” জানিয়েছেন রাহুল চট্টোপাধ্যায়।
একই সুরে ‘বাস সিন্ডিকেটে'র যৌথ সমিতির সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে অনেক চালক ও কন্ডাক্টরেরই দিন গুজরানে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এই শ্রমিকদের পরিবারও উপার্জনের অভাবে ভুগছে।
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি, প্রতিটি জেলায় আঞ্চলিক পরিবহন অফিসের (আরটিও) মাধ্যমে এই আটকা পড়া শ্রমিকদের জন্য রেশন এবং আর্থিক সহায়তা চেয়েছি, তবে তারা এখনও কোনও সহায়তা পাননি।”