কর্মক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত্র আধিকারিকরা ওয়ার্ক স্টেশনের কর্মী-দূরত্ব নিশ্চিত করবে।
হাইলাইটস
- প্রকাশ্য স্থানে, কর্মক্ষেত্রে আর গণপরিবহণে মুখ ঢাকা আবশ্যিক
- প্রকাশ্যে থুতু ফেলা আইনত দণ্ডনীয়
- প্রকাশ্যে মদ, পান, গুটখা সেবন নিষিদ্ধ
নয়া দিল্লি:
দেশে করোনা ভাইরাসের (Covid-19) প্রাদুর্ভাব যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেদিকে নজর রেখে সরকার ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন (Lockdwon 5) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তবে শুধুমাত্র কন্টেনমেন্ট এলাকা ছাড়া দেশের বাকি অংশে আগামী ৮ জুন থেকে শপিংমল ও রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গত ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউন ৪.০ আগামী ৩০ মে শেষ হওয়ার কথা, ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে লকডাউন ৫.০-র ঘোষণা করা হল।নতুন নির্দেশিকা ১ জুন ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। রাজ্য ও বিভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির সঙ্গে বিচার বিবেচনা করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Home Ministry) তরফ থেকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ৮ জুন থেকে সমস্ত ধর্মীয় ক্ষেত্র, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে, তবে কন্টেনমেন্ট এলাকায় এখনও মেনে চলতে হবে বেশ কিছু বাধা নিষেধ।
লকডাউন ৫-এর নতুন নির্দেশিকা ১০ পয়েন্টে:
মুখ ঢাকা: প্রকাশ্য স্থানে, কর্মক্ষেত্রে আর গণপরিবহণে মুখ ঢাকা আবশ্যিক
সামাজিক দূরত্ব: প্রত্যেক নাগরিককে, সহ নাগরিকের থেকে ৬-ফুট দূরত্ব মেনে চলতে হবে। দোকানের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে একই পরিমাপ প্রযোজ্য। দোকানীদের নিশ্চিত করতে হবে একবারে যাতে ৫ জনের বেশি প্রবেশাধিকার না পায়
জমায়েত: বড় গণ জমায়েত এখনও নিষিদ্ধ। বিয়েতে সর্বাধিক ৫০ জন নিমন্ত্রিত থাকবেন। শ্রাদ্ধে সর্বাধিক ৫০ জন আমন্ত্রিত থাকবেন
প্রকাশ্যে থুতু ফেলা আইনত দণ্ডনীয়। অভিযুক্তদের ফাইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলো চূড়ান্ত প্রশাসক রূপে কাজ করবে
প্রকাশ্যে মদ, পান, গুটখা সেবন নিষিদ্ধ
যত সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের উদ্যোগ নেওয়া
কর্ম কিংবা ব্যবসার সময় নিরাপত্তা ও জোন ভাগ ভেদে ওলটপালট করা বাঞ্ছনীয়
মানুষের যাতায়াত আছে এমন স্থানের প্রবেশ ও প্রস্থান পথে স্ক্রিনিং, হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার ব্যবহার আবশ্যিক
কোনও বহুতল, যেখানে অনেক মানুষের জমায়েতের সম্ভাবনা, সে বহতলকে বিশেষ সাফাই অভিযানের আওয়াতাভুক্ত করা। মানব-স্পর্শ আবশ্যিক এমন অঞ্চলকে স্যনিটাইজ করতেই হবে। যেমন লিফট সুইচ, ডোর নব, খাওয়ার টেবিল, ল্যাপটপ, বসার চেয়ার-টেবিল প্রভৃতি
কর্মক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের দায়িত্ব কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা। লাঞ্চ ব্রেক এবং শিফটিংয়ে বিশেষ অদল-বদল রাখা
Post a comment