ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র আর মাঝারি শিল্পসংস্থাগুলোকে সুরাহা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন সনিয়া গান্ধি। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- এমএসএমই গুলোকে বাঁচাতে তৎপর হোক সরকার
- এই আবেদন করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন সনিয়া গান্ধি
- পাঁচ দফা সুপারিশ-সহ লেখা হয়েছে সেই চিঠি
নয়া দিল্লি: ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প (MSME) সংস্থাকে সুরাহা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন সনিয়া গান্ধি। সেই চিঠিতে (Letter to PM Modi) এমএসএমইগুলোকে ছন্দে ফেরাতে পাঁচটি সুপারিশ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী।জানা গিয়েছে, ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকে এক কথায় এমএসএমই বলা হয়। সেই চিঠিতে সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) একাধিক বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেই উদ্বেগের মধ্যে অন্যতম দিনপিছু এমএসএমই'র ৩০ হাজার কোটি ক্ষতির সম্ভাবনা। তাই চলতি লকডাউন ও সংক্রমণের আবহে ধুঁকতে থাকা এই শিল্প বাঁচাতে পাঁচ দফা সুপারিশ দেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি লিখেছেন, "প্রথমে এমএসএমই বর্জ্য সংরক্ষণের স্বার্থে এক লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক। এই প্যাকেজ বিপর্যয় পরবর্তী পর্যায়ে এই শিল্পকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। দ্বিতীয়, এক লক্ষ কোটির লোনের ব্যবস্থা করা হোক। এমএসএমই'র পরিধি ব্যাপ্তির সময় নগদের প্রয়োজনে এই টাকা কার্যকরী ভূমিকা নেবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই আশ্বাস থাকবে, যে প্রয়োজনীয় মূলধন বাজারে মজুত।"
তিন নম্বর সুপারিশ হিসেবে সনিয়া গান্ধি বলেছেন, "এমএসএমই গুলোকে সুরাহা দিতে একাধিক ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নিশ্চিত করতে হবে যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সেই ঘোষণা কার্যকরী হয়।" চতুর্থ ও পঞ্চম সুপারিশ হিসেবে তিনি আরও বলেছেন, "তিন মাসের জন্য মোরাটরিয়াম ঘোষণা করেছে আরবিআই। এমএসএমই গুলোর হাতে পুঁজির জোগান রাখতে সেই মেয়াদ বাড়াক কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আর ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত কারণে এমএসএমই গুলোকে একাধিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। ফলে মূলধন সঙ্কটে ভুগে দীর্ণ হয়ে পড়ে অনেক সংস্থা। বিপর্যয় পরবর্তী পরিস্থিতিতে যাতে এই সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করুক সরকার।"
চিঠিতে সনিয়া গান্ধি উল্লেখ করেছেন, দেশের মোট জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ অবদান এমএসএমই'র। রফতানির ৫০% সামগ্রি সরবরাহ করে এই সংস্থাগুলো। পাশাপাশি বছরে ১১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। তাই নানাভাবে এই সংস্থাগুলোর সংরক্ষণ ও পরিসর বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিক কেন্দ্রীয় সরকার।