This Article is From May 03, 2020

নন কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলিতে একক মদের দোকান চালু মহারাষ্ট্রে

গাইডলাইনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রতিটি রাস্তায় অত্যাবশকীয় পণ্য নয়, এমন পাঁচটি করে দোকান খোলা যাবে

মার্কেট কমপ্লেক্স ও শপিং মলগুলি বন্ধই থাকবে। (ফাইল)

মুম্বই:

একদিন আগেই করোনা ভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) তৃতীয় পর্যায়ের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, রেড জোনের কন্টেনমেন্ট (Containment Areas) এলাকার বাইরে রেড জোনগুলিতে একক মদের দোকান (StandaloneSliquor Shops) চালু করল দেশের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র (Maharashtra) । মহারাষ্ট্রের প্রিন্সিপল সেক্রেটারি ভূষণ গাগরানিকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “এমনকী, রেড জোন এলাকাগুলিতেও, একমাসেরও বেশি সময়ে, করোনা ছড়ায়নি। সেগুলি নন-কন্টেনমেন্ট জোন বলে ঘোষিত হয়েছে”। তিনি বলেন, “এই ধরণের কিছু নন- কন্টেনমেন্ট এলাকায় কিছু ছাড় হবে, যেখানে পোশাক, মদ, স্টেশনারি, এবং অন্যান্য সামগ্রির মতো কিছু অত্যাবশকীয় নয়, এমন পণ্য বিক্রি করা যাবে”।

হান্দওয়ারা এনকাউন্টারে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট প্রধানমন্ত্রীর

গাইডলাইনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রতিটি রাস্তায় অত্যাবশকীয় পণ্য নয়, এমন পাঁচটি করে দোকান খোলা যাবে। জরুরি বা অত্যাবশকীয় পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কোনও নিষধাজ্ঞা থাকছে না। তবে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে দোকানের মালিক এবং অন্যান্য কর্মচারিদের সামাজিক দূরত্ব বিধি মনে চলতে হবে।

রাজ্যের প্রিন্সিপল সেক্রেটারি আরও বলেন, “সারাদিনে, প্রতিটি লেনে পাঁচটি করে দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে অত্যাবশকীয় পণ্য বিক্রির দোকানগুলির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়, যেমন ওষুধ ও মুদির দোকান”।

দোকান খোলার সময়, স্থানীয়স্তরের প্রশাসনের তরফেই ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।

তবে মার্কেট কমপ্লেক্স ও শপিং মলগুলি বন্ধই থাকবে।

মুম্বই ও পুনের রেড জোনগুলিতে দোকান খোলা যাবে একাধিক কড়াকড়ির মধ্যে।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মীদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, পুলিশের দাবি ‘সামান্য বলপ্রয়োগ'-এর

রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, “মুম্বইয়ের এমএমআর এলাকা এবং পুনে, পিম্পরি-চি়ঞ্চওয়ার এলাকাগুলি রেড জোনের মধ্যে রয়েছে।  অন্য ১৪টি জেলার সঙ্গে উপরের এলারকাগুলির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। রাজ্য সরকার আরও একধরণের বিভাগ তৈরি করেছে, যারমধ্যে রয়েছে মুম্বই পুরনিগম, পুনের পুরনিগম, এবং পিসিএমসি, এবং মাঁলেগাঁও পুরনিগম”।

তাঁদের তরফে আরও বলা হয়েছে, “এই সমস্ত রেড জোনে, কেন্দ্রের নির্দেশে, আমরা কিছু কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। রেড জোনে যে সমস্ত শিল্পক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেগুলি এই এলারকার মধ্যে পড়ে না (এমএমআর এবং পিএমআর) তারমধ্যে রয়েছে বেসরকারি অফিসগুলিও”।

এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২,২৯৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৫২০ জন, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। তারমধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি মুম্বই এবং পুনে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাড়া দিয়ে উঠতে হবে স্পেশাল ট্রেনে! মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে আপত্তি বিরোধীদের

১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সমস্ত জোনেই কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।

একক দোকান, প্রতিবেশী দোকান এবং বসতি এলাকায় দোকান খোলা যাবে অত্যাবশকীয় এবং অত্যাবশকীয় নয় এমন সমস্ত দোকান, এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারের নির্দেশিকায়।

 রেড জোনে, কেবলমাত্র অত্যাবশকীয় পণ্যই সরবরাহ করতে পারবে ই-কমার্স সংস্থাগুলি। যাইহোক, অন্যান্য এলাকাগুলিতে সমস্ত ধরণের সামগ্রিই সরবরাহ করতে পারবে তারা।

.