মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এটা সস্তা রাজনীতির সময় নয়। (ফাইল)
হাইলাইটস
- নাম না করে বিজেপির আইটি সেলকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী
- আইটি সেলের দাবি, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে বলা হচ্ছে
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা সস্তার রাজনীতির সময় নয়
নয়াদিল্লি: গত সপ্তাহে রাজ্যে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা সাত থেকে কমিয়ে তিন করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, বাকি চারজনের ক্ষেত্রে অন্য অসুখে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা কমানোর পর শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। সেই বিতর্কের মধ্যে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করলেন বিজেপির আইটি সেলের (BJP IT Cell) প্রধান অমিত মালব্যকে। এর আগে অমিত টুইট করে অভিযোগ জানান, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে বলা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক রাজনৈতিক দলের আইটি সেল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা এই রোগের সঙ্গে লড়তে তাঁদের সেরা লড়াইটা লড়ছেন। এটা সস্তা রাজনীতির সময় নয়। আমরা এই সঙ্কটের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রুটির দিকে আঙুল তুলছি না।''
করোনা মোকাবিলায় নীতি নির্ধারক কমিটি গঠন করা হবে: মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ওরা হয়তো আরও আগ্রহী বাসন বাজানো কিংবা বাজি ফাটানোয়। কিন্তু আমরা নই।''
সোমবারই অমিত মালব্য একাধিক টুইট করে অভিযোগ করেন, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের প্রশাসন চাপে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের জানিয়েছে করোনা ভাইরাসে মৃতের কথা না জানাতে। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিনে মৃতের সংখ্যা নেই।
ডিডি বাংলায় নয়, ৭ এপ্রিল থেকে ভার্চুয়াল ক্লাস হবে এবিপি আনন্দে
তিনি টুইট করে জানান, ‘‘বাংলার সমস্ত হাসপাতাল প্রশাসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তাঁর চাপে রয়েছে। তিনি চাপ দিয়েছেন কোভিড আক্রান্তের ঘটনাকে চেপে রাখতে পরীক্ষা না করতে দেওয়ার দিকে। চিকিৎসকদের জানাচ্ছেন মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনা ভাইরাসের নাম মৃত্যুর শংসাপত্রে না লিখতে।''
তিনি আরও জানান, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকোতে চাইছেন? ২,৩ ও ৫ এপ্রিল বাংলার সরকারের কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশিত হয়নি। ৪ তারিখের বুলেটিনে কোভিড-আক্রান্ত মৃতদের সংখ্যা দেওয়াই হয়নি।''
অমিতের টুইটে প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের। তিনি তাঁকে কটাক্ষ করেন।
গত ২ এপ্রিল রাজ্য সরকারের হেলথ টাস্কের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রাজ্যের মুখ্য সচিব সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরাও করোনা পজিটিভ ছিলেন। কিন্তু তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তাঁদের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে মৃতের সংখ্যা এরপর ৩ করে দিলেও অন্য সংখ্যায় গরমিল থেকে যায়। শেষ গণনায় রাজ্য যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ বলে জানিয়েছে। কেন্দ্রের হিসেবে তা ৮০। শনিবার এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্য সচিব বলেন, এই পার্খক্যটা কেন তা ব্যাখ্যা করে বোঝাবে স্বাস্থ্য দফতর।