Mann Ki Baat: রবিবার সকাল এগারোটায় ‘মন কি বাত’-এ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হাইলাইটস
- রবিবার সকাল এগারোটায় ‘মন কি বাত’-এ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- শনিবার টুইট করে তিনি জানিয়ে দেন এদিনের ভাষণে তাঁর ফোকাস থাকবে করোনার দিকে
- দেশজুড়ে শনিবার একলাফে অনেকটাই বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রবিবার ‘মন কি বাত' (Mann Ki Baat) রেডিও অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণার পর এটাই তাঁর প্রথম ভাষণ এই অনুষ্ঠানে। শনিবার রাতে এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রবিবারের ‘মন কি বাত'-এ তাঁর ফোকাস থাকবে কোভিড-১৯-এর (COVID-19) দিকে। তিনি লেখেন, ‘‘আগামীকাল সকাল ১১টায় টিউন করুন। আগামীকালের এপিসোডে ফোকাস থাকবে কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির দিকে।'' করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ ২১ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছে। গত ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্বের আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে তাকে রুখতে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের অভিবাসী শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ
কেবল কার্গো বিমান ছাড়া আর সব বিমান চলাচল স্থগিত দেশজুড়ে। বন্ধ রেল চলাচল। থমকে রয়েছে আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবাও। কেবল মাত্র মুদিখানা, ওষুধের দোকানের মতো অত্যাবশ্যক সামগ্রীর দোকান ছাড়া অন্য সব কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, পরিকল্পনা ছাড়া করা হয়নি, জানাল কেন্দ্র
এই পরিস্থিতিতে অসংখ্য মানুষ, যাঁদের অধিকাংশই দৈনিক মজুরির শ্রমিক তাঁরা পরিবার সহ সামান্য খাদ্য ও জল নিয়ে নিজেদের গ্রামে পৌঁছতে চেষ্টা করছেন। শনিবার বিশেষ বাসের বন্দোবস্ত করে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের তাঁদের গ্রামে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয় উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সরকারের তরফে।
দীর্ঘ পথ পেরিয়ে নিজেদের গ্রামে পৌঁছনোর চেষ্টা করা শ্রমিকদের উপরে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পুলিশ ক্ষমা চেয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পুলিশকে দেখা গিয়েছে ওই মানুষদের খাবার ও জল সরবরাহ করতে।
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের অভিবাসী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার পর ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার বাসিন্দারা বাসে করে ফিরলে তাঁদের নিজেদের গ্রামে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের জন্য যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বাস স্টেশনেই ওই শ্রমিকদের লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে স্ক্রিনিংয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
দেশজুড়ে শনিবার একলাফে অনেকটাই বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৪। মৃত ১৯।