Coronavirus Outbreak: গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চিনের উহান থেকে এই ভাইরাস ছড়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে
হাইলাইটস
- করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গের সন্ধান পেলেন মার্কিন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা
- মাথা যন্ত্রণা ও গা-হাত-পায়ে ব্যথা ও শীত শীত ভাব অনুভব হলেই সতর্ক হন
- খাবারের স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়াও করোনা সংক্রমণের অন্যতম লক্ষণ
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) বিশ্বের যে দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ শানিয়েছে তার মধ্যে একেবারে শীর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)। প্রতিদিনই সেদেশে অসংখ্য মানুষ COVID-19 এর শিকার হচ্ছেন। তবে এবার মার্কিন শীর্ষ চিকিৎসা সংস্থা করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গের (New Coronavirus Symptoms) সন্ধান পেয়েছে। সেখানকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC), যারা গোটা বিশ্বের নানা রোগ সনাক্ত করে তা নিয়ে নতুন নতুন গবেষণা করে তারাই এই লক্ষণগুলোর সন্ধান পেয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়েও তাঁরা গবেষণাগারে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। যে বিজ্ঞানী-গবেষকরা ওই মার্কিন সংস্থায় (CDC Coronavirus) COVID-19 গবেষণা করছেন তাঁরাই সংস্থার ওয়েবসাইটে ওই নতুন উপসর্গের উল্লেখ করেছেন।
সিডিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, "COVID- 19 এ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নানা ধরণের নতুন নতুন লক্ষণ দেখা গেছে, এই হালকা লক্ষণই পরবর্তীতে মারাত্মক অসুস্থতায় রূপ পায়। করোনা ভাইরাস কোনও ব্যক্তির শরীরে বাসা বাঁধার ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে", সিডিসি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই কথা উল্লেখ করেছে।
এক টাকাও অপচয় নয়, জানিয়ে চিনা কিটের অর্ডার বাতিল করল কেন্দ্র
এই নতুন লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ঠাণ্ডা লাগা, শীত-শীত ভাবের সঙ্গে কাঁপুনি, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা ও স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া। মনে রাখা দরকার, এই লক্ষণগুলি কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা "হু"-এর ওয়েবসাইটে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলোর তালিকার মধ্যে নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় COVID- 19 এর যে লক্ষণগুলি উল্লেখ করা রয়েছে সেগুলো হল জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, ব্যথা, সর্দি, গলা ব্যথা এবং ডায়রিয়া।
লাল এলাকাগুলিতে লকডাউন থাকবে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি: ১০টি তথ্য
মার্কিন সংস্থা সিডিসি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দুটোরই ওয়েবসাইটে যে উপসর্গগুলো মিলে গেছে সেগুলো হল, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাস নিতে সমস্যা।
সিডিসি জানিয়েছে যে এই সমস্ত লক্ষণ এবং নতুন পাওয়া উপসর্গ দেখতে পেলেই যেন দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চিনের উহান থেকে এই ভাইরাস ছড়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে, শেষ পর্যন্ত মহামারী রূপে দেখা দিয়েছে এই ভয়ঙ্কর সংক্রামক রোগটি, এই ভাইরাসটির গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা।