প্রধানবিচারপতি এসএ বোবদে জানান, লকডাউন অপরাধ কমিয়ে দিয়েছে।
নয়াদিল্লি: সঙ্কটের সময়ে সরকারের তিন শাখার একসঙ্গে কাজ করা উচিত, সোমবার NDTV কে এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে (SA Bobde), কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থা সরকারের লাইনের বাইরে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, সেই সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে এমনটা বলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। NDTV কে তিনি বলেন, “সঙ্কটের সময়ে, সরকারের তিনটি অংশের উচিত, সঙ্কট কাটাতে একসঙ্গে কাজ করা...এই সময়ে ধৈর্যের প্রয়োজন এবং পুরো দেশকেই ধৈর্য রাখতে হবে”। করোনা ভাইরাস অমিতমারীর ফলে তৈরি হওয়া সঙ্কট নিয়ে কথা বলে গিয়ে, প্রধানবিচারপতি বলেন, সরকারের তিনটি শাখারই নিজস্ব দায়িত্ব রয়েছে।
এক টাকাও অপচয় নয়, জানিয়ে চিনা কিটের অর্ডার বাতিল করল কেন্দ্র
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, “অতিমারী বা যে কোনও ধরণের সঙ্কট সবচেয়ে ভাল মোকাবিলা করতে পারেন আমলারা। করোনা সম্পর্কিত সমস্ত ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, আমরা তা জানতে চেয়েছি আমলাদের থেকে”। তিনি জানান, “কতজন মানুষ রয়েছেন, কত অর্থ রয়েছে, সামগ্রি রয়েছে কত পরিমাণ এবং কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে”, তা দেখা আমলাদের দায়িত্ব।
বিচারপতির কথায়, “নিসন্দেহে, আমলারা নাগরিকদের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারেন না। যখন তা ঘটে, অবশ্যই, আদালত হস্তক্ষেপ করবে”।
তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার তরফে, এই সঙ্কটের পরিস্থিতিতে আদালত যতটা পারে, করছে। তাঁৎ কথায়, " আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি না এবং আমরা কাজ করছি এবং মামলার চাপ কমাচ্ছি। আমাদের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বছরে ২১০ দিন কাজ করছি আমরা”।
"মুসলিম তোষণ মন্তব্য প্রত্যাহার করুন", রাজ্যপালকে অনুরোধ ইমাম সংগঠনের
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা যতটা পারছি করছি, পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য কী করণীয়, আমরা আমলাদের তা জিজ্ঞাসা করেছি”।
যদি কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনা নেগেটিভ হয়, তাহলে তিনি যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা হয়। তারই শুনানি চলছে আদালতে।
আদালতে মামলার চাপ কমেছে বলে জানান প্রধানবিচারপতি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, সুপ্রিম কোর্টে দৈনিক ২০৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এপ্রিলে, ই-ফাইলিং পদ্ধতিতে মোট ৩০৫টি মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার সংখ্যা কারণ ব্যখা করে প্রধানবিচারপতি বলেন, “এই পদক্ষেপের কারণ ঘটেনি লকডাউনের কারণে। চোরেরা অপরাধ করছে না। অপরাধের হার কমেছে”।
প্রধানবিচারপতি জানান, সব মিলিয়ে, “মামলার জন্য প্রয়োজনীয় কারণ ঘটছে না”।