Coronavirus Uttar Pradesh: রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১,৪৪০
Rae Bareli: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বরেলি জেলার একদল সরকারি চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্যাল কর্মী, যাঁরা কোভিড-১৯ (COVID-19) আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন, তাঁদের বুধবার রাতে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। এতদিন তাঁরা একটি সরকারি স্কুলে ছিলেন। কিন্তু সেখানকার দুর্ভাগ্যজনক ও বেহাল দশা সামনে আসে তাঁরা সেখানকার একটি ভিডিও তুলে তা প্রকাশ্যে আনার পরে। সক্রিয় কোয়ারান্টাইন অবস্থায় থাকা এই স্বাস্থ্যকর্মীরা জেলার মুখ্য মেডিক্যাল আধিকারিককেও চিঠি লিখে স্কুলের ভগ্ন দশা সম্পর্কে অবহিত করেন।
সেই চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, যে হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসা করছেন সেটির কাছেই ওই স্কুলটি অবস্থিত। মঙ্গলবার তাঁদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসক ডিকে শর্মা জানিয়েছেন, তিনি নিজে জায়গাটি ভাল করে দেখেছেন। তাঁর মনে হয়েছে, এই জায়গাটি থাকার পক্ষে ততটা সুবিধাজনক নয়। প্রশাসনের সাহায্যে তাঁরা নিকটবর্তী গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেখানে যাতে খাদ্য ও থাকার ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারটি তিনি দেখছেন বলে জানান চিকিৎসক শর্মা।
কলকাতায় "লকডাউন" পরিস্থিতি খতিয়ে দেখায় মেলেনি রাজ্যের সহযোগিতা, অভিযোগ কেন্দ্রীয় দলের
চিকিৎসকরা দু'টি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তার একটি বুধবার রাত তিনটের সময় তোলা। অন্যটি তোলা হয়েছে দুপুরে খাওয়ার সময়।
লকডাউনে বন্ধ স্কুল-কলেজ! বাড়বে ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা: ইউনেস্কো
রাত তিনটের সময় তোলা ভিডিওয় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায় প্রতিটি সিঙ্গল রুমে চারটি বিছানা পেতে দেওয়া হয়েছে। ঘরে কোনও পাখা নেই। মধ্যরাতে বিদ্যুৎও নেই। সেই সঙ্গে দেখানো হয় নোংরা শৌচাগারও।
দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যায় দ্বিপ্রাহরিক খাবারের ছবি। পলিথিনের ভিতরে বেঁধে দেওয়া পুরী ও সবজি। ‘‘এটাই চিকিৎসক ও কর্মীদের খাবার, যাঁরা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করছেন।'' এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায় ভিডিওটিতে।
ওই দু'টি ভিডিওর পাশাপাশি তৃতীয় একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। ভিডিওতে এক চিকিৎসককে বলতে শোনা গিয়েছে, একটি ঘরে যেভাবে চারটি করে বিছানা পেতে থাকতে দেওয়া হয়েছে তা সক্রিয় কোয়ারান্টাইনে করা যায় না। শৌচাগারের অভিযোগের পরে একটি ‘মোবাইল' শৌচাগার দেওয়া হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি ২০ লিটারের একটি জলের বোতল দিয়ে, সেটাই সকলকে ভাগ করে নিতে বলা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বারবার জানিয়েছেন, করোনা সঙ্কটের সময় যাঁরা একেবারে সামনে থেকে লড়াই করছেন তাঁদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি খেয়াল রাখা সব সময়ই দরকার।
বুধবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করে বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে কোনও আপস করা যাবে না।
রায়বেরিলির এক চিকিৎসক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘আমরা জানতে চাই কোভিড-১৯ রোগীদের যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁদের কি এটা প্রাপ্য? যদি আমাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে কি বাকিরাও আক্রান্ত হয়ে পড়বে না?''