This Article is From Mar 16, 2020

সুস্থ হলেন দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী, জানালেন নিজের অভিজ্ঞতা

Coronavirus: দিল্লির ব্যবসায়ীকে আপাতত আরও ১৪ দিন বাড়িতে থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা, তিনি বর্তমানে আগের থেকে অনেকটা সুস্থ

Coronavirus outbreak: ইউরোপে বেড়াতে গিয়ে ওই রোগে আক্রান্ত হন দিল্লির ওই ব্যবসায়ী (প্রতীকী চিত্র)

হাইলাইটস

  • গোটা বিশ্ব ভুগছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে, ভারতেও থাবা করোনার
  • দিল্লিতে যে ৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে তাঁদের মধ্যে সুস্থ ২ জন
  • করোনা ভাইরাসের থেকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিল্লির ব্যবসায়ীর
নয়া দিল্লি:

নভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus outbreak) নিয়ে অকারণ আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, এর চিকিৎসা পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক মানুষদের মতো তাঁদের এ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, খুব সহজভাবেই চিকিৎসা করে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে পারেন দেশের চিকিৎসকরা, এমন আশ্বাস দিতে শোনা গেল দিল্লিতে (Delhi) যিনি প্রথম করোনা ভাইরাসের শিকার হন সেই রোগীকে। যদিও বর্তমানে দিল্লীর ওই ব্যবসায়ী করোনার প্রভাব অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তবু আপাতত তাঁকে আরও ১৪ দিন বাড়িতে থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বছর ৪৫ এর ওই ব্যবসায়ী অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন এখন। NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের অন্য মানুষদের অযথা করোনা আতঙ্কে না ভোগারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ইউরোপে বেড়াতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন দিল্লির ওই ব্যবসায়ী। দেশে ফেরার পর তাঁর শরীরে ওই মারণ ভাইরাসের লক্ষণ ধরা পড়লে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে গত দু'সপ্তাহ ধরে রেখে চিকিৎসা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তিনি বলেন, "ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা অনেকটাই স্বাভাবিক কোনও জ্বরের মতো। যদি কোনও স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হন এবং ঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছন, তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন, কেননা আমাদের চিকিৎসা পরিষেবা যথেষ্টই ভাল, বিশ্বের অন্যতম সেরা। রোগীদের যে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় তা যথেষ্টই আলো-বাতাস পূর্ণ,  সূর্যের আলোহীন অন্ধকার ঘরের মতো নয়"।

“গাছাড়া মনোভাব ত্যাগ করতে হবে” সার্কের ভিডিও কনফারেন্সে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

দিল্লিতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দু'জন রোগীকে সুস্থ বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। রবিবার তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত সুরক্ষার স্বার্থে আগামী ১৪ দিন তাঁদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

"আমি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউরোপ থেকে ফিরে আসি এবং ঠিক তার পরের দিনই আমি জ্বরে আক্রান্ত হই। আমি একজন চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি বলেন আপনার গলাতে সংক্রমণ হয়েছে। তিনি আমাকে তিন দিনের জন্যে ওষুধ দিয়েছিলেন। তারপর আমি ২৮ তারিখে খানিকটা সুস্থ বোধ করি, তবে ২৯ তারিখে আবার আমার জ্বর হয়। তখনই আমি রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে যাই। সেখানে আমার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার পর গত ১ মার্চ আমার শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়ে", বলেন তিনি।

মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২, দেশজুড়ে বেড়ে হল ১০৮

"সত্যি কথা বলতে, করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে এটা জানার পরে আমি প্রাথমিকভাবে ভেঙে পড়ি। তার পরের দিনই আমাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, একদল চিকিৎসক আমার উপর কড়া নজর রেখেছিলেন। তাঁরা আমাকে আশ্বাস দেন যে এই রোগ থেকে আমি সেরে উঠব, আপাতভাবে সুস্থ কোনও ব্যক্তি সর্দি-কাশি-জ্বরের মতোই এই রোগ থেকে সেরে ওঠার ক্ষমতা রাখেন, শুধু এটা থেকে সারতে একটু বেশি সময় লাগে", চিকিৎসকরা বুঝিয়ে বলেন তাঁকে।

করোনা ভাইরাস থেকে আতঙ্কিত না হয়ে কোনও উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে আসার বার্তাও দেন করোনা মারণ হাতছানি কাটিয়ে ওঠা ওই ব্যবসায়ী। 

.