This Article is From Apr 26, 2020

প্রথমবার উহানের হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য: আধিকারিক

উহানের শেষ রোগী শুক্রবার সুস্থ হন, ফলে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় শূন্য, এমনটাই জানিয়েছেন চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র

প্রথমবার উহানের হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য: আধিকারিক

১১ জন করোনা আক্রান্ত আরোগ্য লাভ করায় তাঁদের উহান শহর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় (ফাইল)

বেজিং/ উহান:

চিনের উহান (China's Wuhan) শহরের হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমবার কমে দাঁড়াল শূন্যতে। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস (COVID-19)অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রথম চিনের উহান শহরেই ছড়িয়ে পড়ডেছিল করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯। ৭৬দিন লকডাউন থাকার পর, শহরের স্বাভাবিক ছন্দে গতি আসে ৮ এপ্রিল। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মিই ফেং জানান, এই ফলাফল সম্ভব হয়েছে, “উহানের স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠোর চেষ্টায়” এবং দেশের বিভি্ন্ন প্রান্ত থেকে যাঁদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল করতে উহানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাঁদের প্রচেষ্টায়। সংবাদসংস্থা জিনহুয়ার খবর অনুযায়ী, মিই ফেং জানিয়েছেন, উহানের শেষ রোগী শুক্রবার সুস্থ হন, ফলে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় শূন্য।

হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, শনিবার কোনও নতুন মৃত্যু বা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। এই হুবেই প্রদেশেরই রাজধানী উহান শহর।

dpu9nrcহুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, শনিবার কোনও নতুন মৃত্যু বা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি

তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সুস্থ হওয়ায় উহানের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১১ জন করোনা রোগীকে।

হুবেই প্রদেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮,১২৮ জন, তারমধ্যে ৫০,৩৩৩জন উহানের বাসিন্দা।

চলতি বছরের হুবেই এবং উহানে প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, ফলে এই এলাকাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

চিন সরকারিভাবে জানিয়েছে, উহানে ডিসেম্বরের শেষের দিকে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে, তবে ২৩ জানুয়ারি থেকে এই শহরটিতে লকডাউন জারি করা হয়, দেরিতে লকডাউন ঘোষণা করায় নিন্দা করে আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ, তাদের দাবি, এর ফলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস অতিমারী।

করোনা ভাইরাস এক মানুব শরীর থেকে আরেক মানব শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে সেটি হুয়ানান সি ফুডের স্টল থেকে ছড়িয়ে পড়ল, নাকি উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, যেমনটা অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা।

চিনের তরফে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের চরিত্র বৈজ্ঞানিক ব্যাপার, এবং এটা বিজ্ঞানের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।

চিনের উহানে মৃতের সংখ্যাও ৫০ শতাংশ কমেছে, যা খবর হয়েছে, তার থেকে কম মৃতের সংখ্যা বলে খবর হয়, তারমধ্যেই এই ঘটনা সেখানে।

স্থানীয় পুরসভার তরফে ১৬ এপ্রিল বলা হয়, উহানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৫ জন বেড়ে হয়েছে ৫০,৩৩৩ জন, এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১,২৯০ জন বেড়ে হয়েছে ৩,৮৬৯ জন।

চিনে করোনা ভাইরাসে নতুন মৃতের সংখ্যা  ৪,৬৩২ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২,৬৯২ জন, সেখানেই পরিসংখ্যান একই রয়েছে।

চিনের বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেরিতে খবর পাওয়ায় তা নতুন করে করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে কিছু বাদ গিয়েছিল এবং ত্রুটিও ছিল।

আধিকারিকরা জানান, চিনে আসন্ন নববর্ষ উৎযাপন করতে বাইরে যান প্রায় ৫০ লক্ষেরও বেশি  মানুষ, ২৪ জানুয়ারি থেকে সেখানে নববর্ষের ছুটি শুরু হয়, সেটিকেই বিশ্বে করোনা অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ মনে করা হয়।

দীর্ঘদিন লকডাউন করে রাখা, ১৪টি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা, ৪২,০০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে ভাইরাসের মোকাবিলায় নামানো সহ হুবেই প্রদেশে করা বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছে চিন।

ভাইরাসের প্রভাব কমায় ৮ এপ্রিল লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়।

.