This Article is From Apr 27, 2020

মাস্ক না পরার অভিযোগ, চেনে বেঁধে রাখা হল সিআরপিএফ কম্যান্ডোকে

ছবিতে দেখা গিয়েছে চেনে বাঁধা রয়েছেন কম্যান্ডো, সম্ভবত থানায় বসে রয়েছেন তিনি, এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

মাস্ক না পরার অভিযোগ, চেনে বেঁধে রাখা হল সিআরপিএফ কম্যান্ডোকে

পুলিশের এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করার চিন্তাভাবনা করছে সিআরপিএফ”

হাইলাইটস

  • ছুটিতে থাকা কম্যান্ডকে হ্যান্ডকাফ পরানো ও মারধরের অভিযোগ
  • “নৃশংস ব্যবহারের পাল্টা এফআইআরের” চিন্তাভাবনা আধা সামরিকবাহিনীর
  • “সিআরপিএফ উচ্চমহলে জানানো উচিত ছিল কর্নাটক পুলিশের”: সিআরপিএফ
বেঙ্গালুরু:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সেই পরিস্থিতি মাও বিরোধী কোবরা বাহিনীর COBRA Unit) এক সিআরপিএফ (CRPF)  (কম্যান্ডোর বিরুদ্ধে মাস্ক না পরার অভিযোগ উঠল। ওই কম্যান্ড সাধারণ পোশাকে ছিলেন, এবং নিজের বাড়ি বেলাগভিতে ছিলেন, তাঁকে মারধর করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মেঝেতে বসিয়ে রাখা হয়। কোবরা ব্যাটেলিয়ন সিআরপিএফ এর বাহিনী, মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় এই বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ছবিতে দেখা গিয়েছে চেনে বাঁধা রয়েছেন কম্যান্ডো, সম্ভবত থানায় বসে রয়েছেন তিনি, এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

লকডাউন নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথা বলছে কেন্দ্র, স্বচ্ছতা নেই: মুখ্যমন্ত্রী

ইতিমধ্যেই কর্নাটকের পুলিশ প্রধান প্রবীণ সুদকে চিঠি লিখেছে, সিআরপিএফ, সেখানে বলা হয়েছে, “অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যেত, সিআরপিএফ এর শীর্ষমহলে জানিয়ে” কম্যান্ডো সচিন সাবন্তকে গ্রেফতার করলে। ২৩ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা প্রেস্ট ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, “পুলিশের এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করার চিন্তাভাবনা করছে সিআরপিএফ”।

সেই চিঠিতে, সিআরপিএফের তরফে বলা হয়েছে, ওই কম্যান্ডোকে “হেনস্থা, খারাপ ব্যবহার, খালি পায়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, হ্যান্ডকাফ ও চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে”।

পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, “হঠাৎই কনস্টেবলের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় বচসা শুরু করেন সচিন, এবং বলেন, আমিও সিআরপিএফ এর পুলিশ। আপনারা আমায় বলতে পারেন না, আমি কখনই আপনাদের নিয়ম মানব না”।

এক টাকাও অপচয় নয়, জানিয়ে চিনা কিটের অর্ডার বাতিল করল কেন্দ্র

চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, কনস্টেবল কম্যান্ডোকে “অনুরোধ” করেন, নিজের “হাত ও পা দিয়ে” তাঁদের হেনস্থা করেন তিনি, এবং সরকারি দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কাজে বাধা দেন। তাঁকে গ্রেফতার করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ, সঙ্গে এফআইআরও দেওয়া হয়েছে।

সিআরপিএফ জানিয়েছে, পুলিশকর্মীদের ওই জওয়ান বলেন, বাড়ির কাছেই বেরিয়েছেন বলে মাস্ক পরেননি তিনি।

সিআরপিএফ মুখপাত্র মসেস দিনাকরণ পিটিআইকে বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে কর্নাটক রাজ্য পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলছি। মঙ্গলবার আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন পৌঁছে যাবে এবং সিআরপিএফের স্থানীয় আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আইনি মীমাংসায় মামলার তদন্ত করা হবে”।

সিআরপিএফ জানিয়েছে, ভিডিওতে, “মনে হচ্ছে যে, পুলিশ কর্মীদের আচরণ নাগরিকদের নিয়ে নয়”।

.